// দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো অভিন্ন। আবার কিছু বিষয়ে তাদের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। যেমন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের অস্বস্তি ছিল। নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান ছিল। এখন সেই অবস্থান নেই। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) সকালে সচিবালয়ে সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী।
বৈঠকের বিষয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমান সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব। কিছু বিষয়ে আমাদের অবস্থান অভিন্ন। জলবায়ু ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশ ও বন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী তিন, চার, পাঁচ বছরে দীর্ঘ মেয়াদে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বহুপক্ষীয় সংস্থা এমডিবি কীভাবে অর্থায়ন করবে, তা বড় একটি বিষয়। আগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চাহিদা ছিল বিলিয়ন ডলার। এখন তা ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সরকার এখন গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এসব বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আবার বসবেন। তখন সবকিছু সুনির্দিষ্ট হবে। কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। ডোনাল্ড লু জোর দিয়েছেন, ভবিষ্যতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা-ই বিনিয়োগ হোক, তা যেন প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার একই জায়গায়। সেটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে কীভাবে কাজ করা হবে, কৌশল কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।