মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহর (পাবনা)
তীব্র গরমের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে পাবনার চাটমোহর বিলচলন ইউনিয়নের দোলং উত্তরপাড়া মাতৃছায়া আদর্শ কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চলছে ক্লাস।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাতৃছায়া আদর্শ কিন্ডার গার্টেন স্কুলে ক্লাস চলছে বহাল তবিয়তে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে হাসভাস করছে গরমে। তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, গরমের মধ্যে ক্লাসে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। গরমে ক্লাস করতে আমাদের ভালো লাগছেনা।
পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অবিভাবক জনান, দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এ কারণে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল খোলা রাখা ঠিক হয়নি। প্রচন্ড গরমে মেয়ে স্কুলে যেতে চায় না। জোর করে স্কুলে পাঠিয়েছি, না হলে তো মেয়ে অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে যাবে। কিন্তু স্কুল ছুটির পর গরমের মধ্যে রাস্তা দিয়ে বাসায় এসে অস্থির হয়ে পড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই পচন্ড গরম চলছে দেশের সব অঞ্চলেই। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় দেশব্যাপী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তিন দিনের হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের দাবির মুখে স্কুল-কলেজের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কর্তৃপক্ষ। প্রচন্ড গরমের কারণে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়টি বিবেচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলছে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস। স্কুল ১১টায় যখন স্কুল ছুটি হয় তখন প্রচন্ড রৌদ্র ও গরম থাকে। প্রচন্ড রৌদ্র ও গরমের মধ্যে হেঁটে বাসায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছেলেমেয়েরা। প্রতিদিন স্কুলে যেতে বলা হয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্কুল খোলা রাখা বিষয়ে জানতে চাইলে মাতৃছায়া আদর্শ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের পরিচালক মো. হাসান আলী বলেন, আমরা সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্লাস চালু রেখেছি। ২৮ এপ্রিল থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা তাই স্কুল খোলা রেখেছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন, কোনোভাবেই সরকারি আদেশ অমান্য করার সুযোগ নেই। তারা কেন সরকারি আদেশ অমান্য করে স্কুল খোলা রেখেছে। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।