// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে প্রাইভেট কার নিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করতো একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র যারা আইনের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে ছিনতাই ও দস্যুতা করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। অবশেষে সঙ্গবদ্ধ এই চক্রের মূল হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পরপরই বেরিয়ে আসে তাদের পৈশাচিক বর্বরতার গল্প।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বগুড়া সদর, কাহালু, শিবগঞ্জ, জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলা ও গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত এই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের আভিযানিক দল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বগুড়া সোনাতলা উপজেলার ভেলুরাপাড়া গ্রামের শাওন মিয়া (২৭), পুরান বগুড়ার পলাশ চন্দ্র ঘোষ (৪২), কাহালু উপজেলার কৈগাড়ী গ্রামের জুয়েল মোল্লা (৩৫), গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বোয়ালী গ্রামের আশরাফ আলী (৪০) ও একই উপজেলার দক্ষিণ কাঠুর গ্রামের শ্রী অশোক কুমার রায় (২৬)। অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত তিন চাকা বিশিষ্ট ব্যাটারীচালিত একটি ইজিবাইক উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানায় অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন।
ওসি আজমগীর জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলার বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের কাথম পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের সামনে গত ১৩ জানুয়ারি প্রাইভেটকার নিয়ে ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইজিবাইক চালক সেলিম রেজা বাদী হয়ে এজাদার দায়ের করলে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ও সরকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) ওমর ফারুকের তত্ত্বাবধানে তিনি ও এসআই মেহেদী হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিবিড় তদন্তে এই সংঘবদ্ধ চক্রকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। ওসি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবত সড়ক ও মহাসড়কে ছিনতাই ও দস্যুতা করে আসছিলো। কৌশল হিসেবে তারা প্রাইভেটকার নিয়ে প্রথমে সড়কে ইজিবাইক আটকিয়ে চালকের থেকে চাবি নিয়ে চক্রের একজন আগে ইজিবাইক নিয়ে যায় আর বাকিরা হাত মুখ বেঁধে চালককে যেকোন নির্জন স্থানে ফেলে দিয়ে যায়।
ওসি আজমগীর আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ঈদকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে তারা বদ্ধপরিকর।