// এনামুল হক টগর //
ব্যাকুল বাসনার উন্মাদনায় আমি তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে এসে দাঁড়িয়েছি সেই পুরাতন শহরে।
তুমি পুষ্প বাগিচার গোলাপ আমি তাঁর কাঁটা বিষে জর্জর হৃদয় ব্যথার অনলে হাহাকার!
তুমি চাঁদের জ্যোৎস্না আমি তাঁর অপর পিঠ আঁধারের সামনে সূর্য কিরণ জ্বল জ্বল!
তুমি ছাড়া এই শহরে আমি একা নির্জীব কবর ক্রন্দনের ব্যথায় আমার চোখ ভিজে যায়।
নির্ঘুম আমি বহু ক্ষুধার্ত মানুষের ঠিকানায় ঘুরে বেড়াই আহত ও ক্ষতবিক্ষত মনের যন্ত্রণায়।
এই হৃদয়ে শব্দের পর বহু শব্দ শুনি তুমি আমার ভালোবাসার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর!
ছোট বড় প্রতিটি জীবনই দুঃখের সাগরে ভেসে মহাজাগতিকের অবিচ্ছেদ্য সমগ্ৰে বিভোর!
আমি নদীতে ভেসে আসিনি আমি অনেক যন্ত্রণার রাস্তা পেরিয়ে এই শহরে প্রবেশ করেছি প্রজ্ঞা দীপ্তকর।
তোমার প্রেমের চৈতন্যে আমার বাসনার অশনি দেওয়াল গুলো ভেঙে খান খান হয়ে যায় মজলুম সাধারণ!
মনে হয় আমি ঘৃণার পাত্র অপমান অবহেলা ও লাঞ্ছনায়ই আমার বেদনার দহন আলিঙ্গন !
এই শহরের এক মদ বিক্রেতা আমার প্রতিটি গানের অনুষ্ঠানে আক্রমণ করে ভয়ংকর সে দানব।
যা কিছু পর্থিব তা থেকে আমি সবসময়ই পালাই অমৃত সুধা ফেলে বিষ পান করি আজব!
আমি নিরাপদ জীবনের চিন্তা ছেড়ে ছুটে যাই মানুষের বিপদের কাছে শান্তির মহাজীবন গৌরব।
খ্যাতি ও যশ আমার ভয়ংকর শত্রু,অপমান অসম্মান আর লজ্জা আমার পরম বন্ধু আদব!
এক মহাশক্তি সবসময়ই আমাকে কাঁটার পথে হাঁটায় আর শরীরকে রক্তাক্ত করে ধৈর্যশীল বিপদ।
এই কবিতা এই উপন্যাস এই ছোটগল্প ও গান কিছুই আমাকে মনে রাখে না তাঁরা সবসময়ই নিরব?
আমি এক ক্লান্ত বাহন তোমার প্রেমে হেঁটে যাই আর খুঁজতে থাকি প্রিয়তমার নিরিবিলি পথ সরল।
কলম ও কালি যেমন লেখকের হাত দিয়ে লিখে যায় ইতিহাসের বৃত্তে জীবন কাহিনী বিরল!
বাঁশি যেমন মোহনীয় সুর তোলে গ্ৰাম নগর ওই দিগন্ত অরণ্যের ভালোবাসায় সুদূর।
আমিও বেদনাবিধুর যন্ত্রণায় তোমাকে অনুসরণ করি বিদগ্ধ অশেক প্রেম অঙ্গার!
প্রাণের ব্যথায় ছটফট মন আমার হেঁটে যাই দেখি গভীর কষ্টের দহনে তোমায় অবয়ব সুরত আয়না!
আমার যত সুনাম অর্জন সব তোমারই প্রেমে বিসর্জন দিয়ে চাই শুধু সাক্ষাৎ দর্শনে ও মহামিলন!
প্রিয়তম আমার জীবনের প্রজ্বলিত সূর্য আমার তুমি নক্ষত্রের আলোতে ভালোবাসার দূর আসমান।
তুমি কি জানো প্রিয়তম এই শহরের অধিকাংশ লোকই আমাকে পাগল বলে শুধু অসম্মান।
প্রেমিকরাতো একধরণের পাগলই বটে দীর্ঘ গুপ্তজ্ঞান ও তত্ত্বাজ্ঞানে গুপ্তধন জীবন!
এই শহরের অনেক মানুষই আমাকে ঘৃণা করে আমাকে মহামাতাল বলে বিশ্ব সংসারে প্রেম মলিন।
অন্তরের গভীরে সত্য ধারণকারী ও সৎকর্মশীল মানুষগুলো একটু পাগলাই হয় বটে তপস্যায় তৃতীয় নয়ন!
এই অপমান এই ঘৃণা এই লাঞ্ছনার পথ ধরে আমি ফিরে এসেছি বন্ধু আপন ঠিকানায়।
এই শহর থেকে তুমি আমাকে অনির্বাণ শিখার আলো দাও মাশুক পূর্ণ জ্ঞান চেতনায়।
তোমার নূরে রঙে আমি যেন এই মহাবিশ্বকে ঘুরে ঘুরে দেখতে পারি নব নব জন্ম পরিচয়।