পাবনায় আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

// রফিকুল ইসলাম সুইট , পাবনা প্রতিনিধি ::

হাজী জসীম উদ্দিন কলেজে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
পাবনার দুবলিয়া হাজী জসীম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, দুবলিয়া বাজারে প্রভাত ফেরী, কলেজ মিলনায়তনে আলোচনাসভা, রচনা প্রতিযোগীতা, কুইজ প্রতিযোগীতাসহ দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসুচী পালন রা হয়। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এসব কর্মসুচীতে অংশ গ্রহন করেন, উপাধ্যক্ষ মো. নায়েব আলী, সহকারী অধ্যাপক মীজা মো. মোশারোফ হোসেন, কোমল চন্দ্র দাস, মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম হুদা, ইউনুস আলী, হাতেম আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পাবনা পৌরসভায় আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত করেছে পাবনা পৌরসভা। শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল সহ নানা কর্মসুচী পালন করে।
পাবনা পৌরসভার আয়োজনে বুধবার রাতে প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পন, পৌরসভায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল সহ নানা কর্মসুচী পালন করা হয়।
এসব কর্মসুচীতে অংশ গ্রহন করেন, পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী ওবায়দুল হক, প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

পাবিপ্রবিতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের হাতাহাতি

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছেন এক পক্ষ।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক পক্ষ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের কর্মকর্তাদের একটি সংগঠন ছিল। যা নিয়ে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপ বিভক্ত হয়, সম্প্রতি একটি গ্রুপ পাস্ট (পিইউএসটি) ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের আরেকটি সংগঠন তৈরি করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজকে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে দুই গ্রুপ মুখোমুখি হোন। প্রথমে পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন শ্রদ্ধা নিবেদন করে পরে ফুলের পুষ্পার্ঘ নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যান নতুন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে বাধা দেন পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ফুলের পুষ্পার্ঘ ছিনিয়ে নেন পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এসময় উভয়পক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। এতে বাধা দিয়ে নতুন সংগঠনের দুই নারী সদস্যকে লাঞ্চিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক হয়।
পাস্ট (পিইউএসটি) ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জিএম শামসাদ ফখরুল ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ফুল নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যাওয়ার পরপরই কর্মকর্তা পরিষদের নেতারা বাধা দেন এবং আমাদের ফুলের তোরায় থাকা আমাদের সংগঠনের নাম তুলে ফেলেন। এরপর আমাদের দুই নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করেন। আমরা এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছি।
পাবিপ্রবি কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের একটি সংগঠন আছে সেটা হলো পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই নামে আর কোনো সংগঠন নেই। একটি পক্ষ প্রায় একই নামে আরেক সংগঠন তৈরি করেছেন। তারা যেহেতু আমাদের সংগঠনেরই ভোটার তাই আমরা তাদের বলেছি, একই নাম ব্যবহার না করে অন্য কোনো নামে সংগঠন তৈরি করতে। এসব নিয়েই শুধুমাত্র কথাকাটাকাটি হয়েছে, আর কিছু নয়। হাতাহাতি ও কর্মকর্তাদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ মিথ্যা।
পাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের দুইটি সংগঠনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। একই সংগঠনের নামে দুটি সংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যে একটু বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে দুই পক্ষই শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
এ বিষয়ে পাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, শহীদ মিনারে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের একটা ঝামেলা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে আমরা তদন্ত কমিটি করছি। বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।