// ইবি প্রতিনিধি।।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বা বইমেলা মানেই লেখক পাঠকদের মিলন-মেলা। এই বইমেলাকে ঘিরে চলে নানান প্রস্তুতি। লেখকরা তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে পাঠকদের জন্য সারি-সারি বই প্রকাশ করে থাকেন। বলা যায় এক সাহিত্যের পাহাড় গড়ে তোলেন। পাঠকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে নতুন নতুন বইয়ের জন্য। অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪ আসতে খুব বেশি সময় নেই। এই বইমেলার পূর্ব ক্ষণে প্রকাশক লেখকদের মধ্যে চলে বই প্রকাশের আলাপ-আলোচনা। সোমবার (০১ জানুয়ারি) জ্ঞানকোষ প্রকাশনীর সাথে খায়রুজ্জামান খান সানি’র নতুন বইয়ের চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।
খায়রুজ্জামান খান সানি। এই সময়ের আলোকিত মুখ। একজন তরুণ কলাম লেখক, কবি ও উপন্যাসিক। যুক্ত আছেন সৃজনশীল বিভিন্ন সংগঠনের সাথে।
লেখক সানির কাছে বই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জ্ঞানকোষ প্রকাশনীর থেকে ‘কী চাও? স্মৃতির মরণ’ এই শিরোনামে প্রকাশিত হবে উপন্যাসটি। এটি আমার ৩য় উপন্যাস। যার ধরণ ‘ রোমান্টিক থৃলার’ ।
এই উপন্যাস পাঠকরা কেন পড়া পড়বে বা কেন পড়া উচিত এই প্রশ্নের জবাবে লেখক খায়রুজ্জামান খান সানি বলেন, ‘কনীনিকা’ আমার প্রথম উপন্যাস মলাটবদ্ধ হওয়ার পর প্রকাশিত হয় ২১’ বইমেলায় এবং পাঠক হৃদয়ে ছুঁয়ে যায়। যা আমাকে দ্বিতীয় বই লেখার অনুপ্রেরণা যোগায়। ‘যেখানে স্মৃতিরা বেঁধেছিল’ বইটি পাঠক ভালবেসে আগলে নিয়েছে। ছুঁয়ে গিয়েছে পাঠক হৃদয়। রোমাঞ্চকর গল্পের সাথে কিছু ট্র্যাজেডিক মূহুর্ত যা পাঠক হৃদয় আকৃষ্ট করে রেখেছিল। তার ধারাবাহিকতায় তৃতীয় উপন্যাস প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষের আগমন ঘটে ক্ষণিকের মাঝে আমরা জড়িয়ে যাই নতুন স্মৃতিতে। কিন্তু, একটা সময় পর হয়তো সে মানুষটি আর থাকেনা। হারিয়ে যায় অযাচিত রোদ্দুরের মত করে। কিন্তু, তার স্মৃতিগুলো থেকে যায়। একটা সময় আমরা কিছু স্মৃতির মরণও চেয়ে থাকি। পাঠক নতুন অনুভূতির সাথে পরিচিত হতে পারবে বলে বইটি পড়া উচিত।
উল্লেখ্য, খায়রুজ্জামান খান সানি বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সম্পাদকীয় কলাম লিখে থাকেন। তাঁর চিন্তা ভাবনা পাঠকদের মাঝে তুলে ধরেন। এছাড়া লেখক সানি গল্প , কবিতার মধ্যে দিয়ে তাঁর সাহিত্য চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছেন। অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২১ এ খায়রুজ্জামান খান সানির প্রথম উপন্যাস ‘পুস্তক প্রকাশনা’ থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতা ২য় বই ‘যেখানে স্মৃতিরা বেঁধেছিল’ ওপার বাংলায়ও পাঠক সমাদৃত হয়। যা একটু একটু করে লেখককে নতুন বই প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করে।