// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ার শিবগঞ্জে শ্বশুর আব্দুস সাত্তারকে হত্যার দায়ে জামাই মতিয়ার রহমান (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে গাজীপুরে গাছা থানা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিজানুর শিবগঞ্জের শব্দদিঘী গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে৷ নিহত সাত্তার ওই উপজেলার সেকেন্দ্রাবাদ গ্রামের মৃত শরাফত প্রামানিকের ছেলে।
র্যাব-১২ বগুড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রায় ১৮ বছর আগে সাত্তারের বড় মেয়ে সান্তনা খাতুনের সাথে মতিয়ারের বিয়ে হয়৷ বিয়ের পর থেকে তিনি তুচ্ছ ঘটনায় সান্তনাকে মারধর করে আসছিল। মতিয়ারের অভিযোগ তাকে জামাই হিসেবে ঠিকমতো দাওয়াত ও সমাদর করা হতোনা। প্রায় বছরখানেক আগেও মতিয়ার শ্বশুর সাত্তারকে মারধর করেছিল। গত ৬ ডিসেম্বর মেয়ে সান্তনার বাড়িতে অসুস্থ নাতনি স্নিগ্ধাকে দেখে আসার পথে মতিয়ার তার আত্মীয়দের নিয়ে সাত্তারকে মারধরের পর মাথায় ছুরিকাঘাত করে৷ পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত্তারের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান পাঁচজনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই মতিয়ার পলাতক ছিলেন৷ বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানী কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে শ্বশুরকে মতিয়ার ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন৷ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রউফ জানান, গ্রেপ্তার মতিয়ারকে র্যাব শুক্রবার বিকেলে হস্তান্তর করেছে। শনিবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।