// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ নিজ কন্যাকে নরসিংদীতে খুন করে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামে পালিয়ে আসার ঘটনায় প্রায় ১মাস পেরিয়ে গেলেও (নরসিংদী, শিবপুর মডেল থানায় হত্যা (মামলা নং- ৮/৩২২) মামলা‘র আসামী তার স্বামী মেহেদী হাসান খান (৩০) বড়ভাই মজনু খান (৩২)সহ অন্যান্য আসামী-কে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। নিহত শিশুর মা লাভলী আক্তার শাকিলা অভিযোগ করে বলেন- মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশের তৎপরতা না থাকার কারণে সুত্রে জানতে পেরেছি আসামীরা বাড়ীতে অবস্থান করছে। আমন ধান কাটছে। মৌলভীবাজার পাসপোর্ট অফিসেও সে এসেছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে- ছিকরাইল গ্রামের মেহেদী হাসান খান (৩০) নামীয় এক পিতা ২মাস ৯ দিনের এক কন্যা শিশু-কে বস্তায় ভরে হত্যা করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী শ্রীফুলিয়া এলাকায় লাশ ফেলে দেন। সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ঘটনার ২দিন পর অর্থাৎ ১০ নভেম্বর সকালে শ্রীফুলিয়া এলাকা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরস্পর যোগসাজসে হত্যা করার অপরাধে তার স্বামী মেহেদী হাসান খান, বড় ভাই মজনু খান, বোন লিপি বেগম-কে আসামী করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মা লাভলী আক্তার শাকিলা। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই ফুলন জানান- বর্ণিত মামলার আসামীকে গ্রেফতার করতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামে তাদের বাড়ীতে অভিযান করা হয়েছে। আসামী ও তার পরিবারের লোকজন ভালো না। তাই রাতে অভিযান করা কঠিন। দিনের বেলা পাওয়া যায় না। আসামী জনসম্মুখে চলাফেরা করছে, কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ভূমিকা পালন করা হচ্ছে না বাদীর অভিযোগ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- মামলার বাদী-কে মৌলভীবাজার মডেল থানায় আসার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্ত তিনি আজও দেখা করেন নি। এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) হুমাযুন বলেন- ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার আমাদের সাথে এখনো যোগাযোগ করেন নাই। তার পরও আমার গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। উল্লেখ্য- গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বামী মেহেদী হাসান খান চায়ের মধ্যে ঘুমের ওষদ মিশিয়ে তার স্ত্রী-কে অচেতন করে রাত অনুমান ৯ ঘটিকা থেকে ভোর অনুমান ৫.৪০ মিঃ মধ্যে যে কোন এক সময় দুগ্ধজাত কন্যা সন্তানকে একটি ব্যাগে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিগত ১০ নভেম্বর সকালে শ্রীফুলিয়া এলাকা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।