// আজিম উল্যাহ হানিফ
কুমিল্লার দাউদকান্দির বরকোটা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জেএসসি ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী ছাত্রী সীমা আক্তার শিমু। তিনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি কমপ্লিট করে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে গণিত বিভাগে ভর্তি হন, বর্তমানে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত সীমা আক্তার শিমু। কলেজের ক্যাম্পাসে তিনি রক্তকন্যা হিসেবে পরিচিত মুখ। পড়াশুনার পাশাপাশি কলেজের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সাথে রয়েছেন পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। লেখালেখি করছেন কুমিল্লা শহর ও শহরের বাহিরে থেকে প্রকাশিত দৈনিক,সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোতে। দায়িত্ব পালন করছেন কলেজের দ্বি-মাসিক ক্যাম্পাস বার্তা পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক হিসেবে। সদস্য হিসেবে আছেন কলেজের যুব রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন’এ, বিএনসিসি বিমান শাখা। জীবনে নিজে একবার বি নেগেটিভ রক্ত দান করলেও মাসে কমপক্ষে ৩০-৪০ জনকে রক্ত ব্যবস্থা করে আসছেন। প্রতিদিনই কারো না কারো রক্তের জন্য সোশাল মিডিয়া ফেসবুক, ইমু, ব্যক্তিগত ফোনে মেসেজ বা কল আসে। সীমা আক্তার শিমুও দায়িত্ব নিয়ে ব্যবস্থা করে দেন সেই চাহিদা মত রক্ত। বিগত সময়ে ক্যাম্পাস থেকে নিজ উপজেলা দাউদকান্দি পর্যন্ত কলেজ বাস চালু ছিল একটি। একটি থেকে দুটি বাসে রুপান্তরিত করতে উদ্যোগ নেন শিমু। কলেজে পড়–ূয়া দাউদকান্দির ছাত্রদের সাথে কথা বলে কলেজ অধ্যক্ষ’র কাছে রাখেন দাবী। দাবী আদায় হয় অক্টোবরের ১২ তারিখ। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে গৌরীপুর থেকে ছেড়ে আসে কলেজ ক্যাম্পাসের দিকে সেই বাস। রক্তদানের উৎসাহও কিংবা মানবিক জীবন গঠনের পুরোপুরি আদর্শ হিসেবে নিয়েছেন বড় বোন তানিয়া আক্তারকে। যদিও লেখালেখিতে উৎসাহ উদ্দীপনা যুগিয়েছেন আবু সুফিয়ান রাসেল।
বাবা- মো: আ: রশিদ মিয়া ও মা আয়েশা বেগমের তৃতীয় সন্তান তিনি। ছোট বেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল মানবিক মানুষ হওয়া,মানুষের পাশে দাড়াঁনো,তার স্বপ্ন’র পথ ধরেই সে এগুচ্ছে, স্বপ্ন পূরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কলেজের রক্তকন্যা হিসেবে বিগত সময়ে জোবাইদা ইসলাম মুমু, শাহ শারমিন, খাদিজা আক্তার, মুক্তা, আফরোজা হক এ্যানি সহ অসংখ্য শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে কাজ করছেন সীমা আক্তার শিমু। লেখালেখি করছেন ও কলেজের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন ভাষাসৈনিক আবদুল জলিল প্রতিষ্ঠিত সাপ্তাহিক লাকসাম পত্রিকায়। শিমু সবার দোয়া চেয়েছেন।