পদ্মা নদী থেকে বালি উত্তোলনের ফলে ভুমিকম্প অথবা ভুমি ধসের মত ভয়াবহ প্রাকৃতি বিপর্যয় ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে : ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক

// পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা রাজবাড়ী এবং কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা নদী থেকে হাইকোর্ট বালি উত্তোলন বন্ধের আদেশ দিলেও প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তা মানছেনা। ফলে এই অঞ্চলে ভয়াবহ ভুমিকম্প অথবা ভুমি ধসের মত ভয়াবহ ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। গতকাল শুক্রবার পাবনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আর্ন্তজাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সভাপতির ভাষনে পাবনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট সারা দেশের মধ্যে সুনিদির্ষ্ট করে এই তিন জেলার কথা উল্লেখ করে একদম বালি তোলা বন্দের আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু বালিদস্যু প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তা কোনমতেই মানছেনা। তিনি বলেন, প্রশাসনের একার পক্ষে এ সব কাজ বন্ধ করা কঠিন। তাই সম্মিলিতভাবে এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।
“অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি; দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যত গড়ি” প্রতিপাদ্যে আর্ন্তজাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার পাবনা জেলা প্রশাসনের অফিসের সামনে থেকে এক র‌্যালী বের করা হয়। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরীফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএম বেনজির আহমেদ, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মাষ্টার, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মোশারোফ হোসেন, ফায়ার বিগ্রেডের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, আসিয়াব এনজিওর পরিচালক আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাবনা জেলায় সরকারিভাবে ১২০টি জলাশয় আছে। আর একদন্ত নামে পাবনা একটি ইউনিয়নেই পুকুর রয়েছে হাজারেরও উপরে। কাজেই শুধু পুকুর কাটলে চলবে না। শস্য ভুমি রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের নানা পুর্ব সচেতনতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমেছে। কিন্তু মানবসৃষ্ট দুর্যোগে এখন ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।