// বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
অতিবৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছিল মাঠ। কিন্তু পানি বের হওয়ার কোন পথ না থাকায় লালপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার দুই শতাধিক কৃষকের মালিকানাধীন পৌনে ছয়শ’ বিঘা জমির ধান পানির নীচে ডুবে যায়। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাসেল ঘটনাস্থল ছুটে যান এবং স্থানীয়দের সহায়তায় পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেন। এতে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেল দরিদ্র কৃষকদের জমির ধান। এতে দারুণ খুশী এ এলাকার চাষীরা।
স্থানীয়রা জানান, বড়াইগ্রামের গোপালপুর ইউনিয়নের মৃধা কচুয়া এলাকায় একটি সরকারী কালভার্টের মুখ বন্ধ করে একজন কৃষক তার জমিতে মাটি ভরাট করেন। এতে মৃধা কচুয়াসহ পাশের লালপুরের মাঝগ্রাম বিলের পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে এ দুটি বিলে পানি জমে ধান ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। খবর পেয়ে সোমবার বিকালে ইউএনও আবু রাসেল ঘটনাস্থলে যান। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক নালা কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। একই সাথে পানি নেমে যাওয়ার পর পাকা ড্রেন নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল আলম, বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা ও প্রীতম কৃমার হোড় উপস্থিত ছিলেন।
বড়াইগ্রামের মৃধা কচুয়ার কৃষক আবু তালেব ও লালপুরের মাঝগ্রাম এলাকার সোলায়মান আলী বলেন, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়ে বিলে আমাদের ধান ডুবে যাচ্ছিল। অবশেষে প্রশাসন নালা কেটে পানি বের করার উদ্যোগ নেয়ায় আমাদের ধানগুলো বেঁচে গেল, এতে আমাদের খুব উপকার হলো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, মৃধা কচুয়া এলাকায় কালভার্টের মুখ আটকে দেয়ায় লালপুরের মাঝগ্রাম বিলের প্রায় ৫শ’ বিঘা জমির ধান তলিয়ে যাচ্ছিল। এছাড়া বড়াইগ্রাম অংশেও পৌনে একশ বিঘা জমির ধান ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নালা কেটে জমে থাকা বৃষ্টির পানি বের করায় এসব ধানের আর ক্ষতি হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাসেল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আপাতত সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে। তবে সেখানে কালভার্টের পানি যেন বের হতে পারে, সেজন্য স্থায়ীভাবে পাকা ড্রেন নির্মাণ করে দেবো।