// নাটোর প্রতিনিধি
মাত্র ৫৭ ডলার আয় দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মনিরুল ইসলাম। নিুবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় এবং একহাত ছোট হওয়ায় প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে দিনে দিনে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। লীড টপার আইটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হিসেবে মাসে গড়ে তিনি আয় করেন ২০ হাজার ডলার। বর্তমান ৫০ জন কর্মচারীকে মাসিক বেতন দিয়েও আয় ১৫ লাখ টাকা পার হয়ে যায় তাঁর।মনিরুল নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের ঢুষপাড়া গ্রামের মন্টু মন্ডলের ছেলে।
সরেজমিন দেখা যায়, অনলাইনে ঘরে বসেই সব কাজ তার। কখনো বিদেশি গ্রাহকের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিচ্ছেন। কখনও টিম মেম্বারদের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণদের শেখাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং। তার দেখানো পথে হেঁটে এলাকার অনেক তরুণ স্বাবলম্বী হয়েছেন।মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে কৌতুহলে তিনি অনলাইনে আয়ের বিষয়ে আগ্রহী হন।পরিচিত বড় ভাইয়ের সাহাবুল আলমের হাত ধরেই এ জগতে পদচরণা। শুরুর অভিজ্ঞতা খুব ভালো ছিল না। প্রথম দিকে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। তবে দীর্ঘ ৯ বছর কঠোর পরিশ্রম করে এখন তিনি সফল ফ্রিল্যান্সার।
তিনি আরও বলেন, জীবনে অনলাইনে প্রথম আয় ৫৭ ডলার। যা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকার মতো, যেটা করতে সময় লেগেছিল মাত্র ২ ঘন্টা। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া এ সেক্টরে সময় বেশি দিলে মাসে ভালো টাকা আয় করা যাবে। প্রায় ৫ বছর হলো ‘লীড টপার আইটি সেন্টার’ নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ৯ বছর পর এখন মাসে গড়ে তিনি আয় করেন ২০ হাজার ডলার। তিনি বলেন, বর্তমানে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। হাজার হাজার বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনলাইনে প্রচুর কাজ করার রয়েছে। এখান থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তাই চাকরির পেছনে না ঘুরে সঠিক পথে পরিশ্রম করে কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।মনিরুল আরো বলেন, কাজ শেখার ক্ষেত্রে মানসিকতা থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। শুধু ক্লিক করে টাকা ইনকাম করা যায় না। এমন একটা কাজ শিখতে হবে যাতে কো¤পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিন্তু কাজের চাহিদা বাড়তে থাকবে। দীর্ঘ রাত জাগা পরিশ্রমের পর যখন আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।