// চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সরকার মোট ৬টি স্কিমের কথা ঘোষণা করলেও আপাতত প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এ চারটি স্কিম চালু করেছে। গত ১৭ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী সার্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর ২৪ দিন পেড়িয়ে গেলেও চাটমোহর সোনালী ব্যাংকে একজন ব্যক্তিও পেনশন হিসাব খোলেন নি। সরকারী চাকরিজীবীর বাইরে থাকা বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করলেও চাটমোহরে তা এখন পর্যন্ত সাড়া ফেলতে পারেনি।
চাটমোহরের হরিপুর মসজিদ পাড়া সিদ্দিকীয়া আলীম মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ের জেষ্ঠ্য প্রভাষক আব্দুস সালাম জানান, এটি অবশ্যই ভাল উদ্যোগ। এর ফলে মানুষ সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ হবে। যারা পেনশন হিসাব খুলবেন তারা লাভবান হবেন বলে আমার মনে হয়।
চাটমোহর পৌর সদরের ছোট শালিখা মহল্লার ব্যবসায়ী আশরাফুল হক জানান, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। এটি সফলতার মুখ দেখবে বলে আমার মনে হয় না। শ্রমিক শ্রেণী, নি¤œ ও মধ্যবিত্তরা আগ্রহী হবে কিন্তু তাদের অনেকেই দীর্ঘ দিন প্রিমিয়াম দিতে পারবে না। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির ফলে মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সঞ্চয় করা বা পেনশন বীমা করার ইচ্ছা থাকলেও মানুষ তা করতে পারছে না।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশুয়াইল গ্রামের ভ্যান চালক নয়ন হোসেন জানান, সার্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই শোনেন নি। কিছু জানেন ও না। চরসেন গ্রামের বওশা বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বাবুল আকতার জানান, “আমার কাছে মনে হয় সর্বজনীন পেনশন বীমার চেয়ে ডিপিএস অনেক ভাল। এ ক্ষেত্রে লাভসহ গচ্ছিত টাকা নিজের থাকবে। পরে সেই টাকা দিয়ে সঞ্চয় পত্র কেনা লাভজনক হবে।”
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড চাটমোহর শাখার ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিক রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জানান, সর্বজনীন পেনশন স্কীম সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে আগ্রহী অনেকেই ব্যাংকে আসছেন। তবে এই ব্যাংক শাখায় এখন পর্যন্ত কেউ পেনশন হিসাব খোলেন নি।