// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নে রহস্যজনকভাবে মৃত বীণা খাতুন (৫২) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহালে লাশের মাথায় ও কানে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ এ মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক বলে ধারণা করছেন। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছায়টার দিকে সাহাপুরের মসজিদ পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে খড়ির ঘরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলায় জনৈক এমদাদের সাথে নিহত বীণার প্রথম বিয়ে হয়। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় কয়েক বছর আগে উভয়ের ছাড়াছাড়ি হয়। প্রথম পক্ষে বীণার ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে রয়েছে। ছেলে ও মেয়ে উভয়েই এখন বিবাহিত। এরইমধ্যে বছর খানেক আগে একই এলাকার জনৈক কাজী ওমর (৫৫) এর সাথে বীণার দ্বিতীয় দফায় বিয়ে হয়। কাজী ওমরের এটি তৃতীয় পক্ষ। তার এক স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়েছে এবং ঘরে আরেক স্ত্রী রয়েছে। স্ত্রী থাকা অবস্থায় সে বীণাকে তৃতীয় বিয়ে করে। তবে বিয়ের পর বীণা নিজ বাড়িতেই থাকতো। কাজী ওমর যাতায়াত করতো। শনিবার দিনের বেলায় বীণাকে বাড়ির আশেপাশে চলাচল করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার দিকে মাথায় আঘাতসহ বীণার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে এলাকাবাসীরা মনে করছেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহালে মাথায় আঘাতের চিহ্ণ দেখা গেছে এবং কান দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। যেকারণে মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনায় পাঠানো হবে। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।