বগুড়ায় ভাতিজাকে হত্যার অভিযোগে পলাতক থাকা চাচা র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

// সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ বগুড়ার আদমদীঘির আজিজার মন্ডল হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহতের চাচা ফরিদ মন্ডলকে আটক করেছে র‌্যাব।  শুক্রবার রাত ১১টায় নওগাঁর পোরশা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে শনিবার বিকেলে র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানান কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন।
আটক ফরিদ মন্ডল (৫৫) আদমদীঘি উপজেলার সান্দিরা ব্যাপারীপাড়া গ্রামের আসকর আলী মন্ডলের ছেলে এবং নিহত আজিজার মন্ডলের আপন চাচা।
জানা গেছে, প্রায় বিশ বছর আগে ফরিদ মন্ডল তার মেয়ের সঙ্গে ভাতিজা আজিজারের বিয়ে দেন। তবে, সেই বিয়ে টেকেনি। কিছুদিন পরে পারিবারিক কলহের জেরে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে আজিজার অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরে, আজিজার তার পুরোনো বাড়ি রেখে মাঠের মধ্যে নতুন বাড়ি তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কিছুদিন পর ফরিদও সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানেও তুচ্ছ বিষয় নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটতো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৮ আগস্ট তাদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় আটক ফরিদ মন্ডল ইট দিয়ে তার ভাতিজা আজিজারের মাথায় আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, আজিজারের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বাদি হয়ে গত ৯ আগস্ট আদমদীঘি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  এরপর থেকেই র‌্যাব আসামীদের ধরতে চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ফরিদের অবস্থান নিশ্চিত করে শুক্রবার তাকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাবের আভিযানিক দল।
র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আটক ফরিদ মন্ডল মামলায় ২নং আসামি হলেও তিনিই প্রধান আসামী। কারণ তিনিই আজিজারের মাথায় আঘাত করেছেন এবং সেই আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদমদীঘি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে আজিজারের সঙ্গে তার চাচা ফরিদ মন্ডলের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাদের ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে বুধবার (৯ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আজিজার মন্ডল মারা যান।