// নাটোর প্রতিনিধি-গত দেড় মাস আগে ঢাকার রায় বাজার মহল্লার বাড়ী থেকে বের হয় ইয়াছিন আলী(১৪)। এর পর সে আর বাড়ী ফিরে যায়নি। সম্ভাব্য সকল জায়গায় তাকে খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। ছেলে না পেয়ে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। এমনি করেই পেরিয়ে যায় দেড় মাস। এরই এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইয়াছিন আলীর পরিবারের লোকজন শুক্রবার রাতে গুরুদাসপুর থানায় ইয়াছিনের অবস্থান জানতে পারেন। পরে শনিবার দুপুরে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ ইয়াছিন আলীকে তার পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেন। কিশোর ইয়াছিন ঢাকার রায়বাজার মহল্লার মোঃ শাহ আলমের ছেলে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোনোয়ারুজ্জামান জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ইয়াছিন আলী নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের কাছিকাটা এলাকায় রাস্তার পাশে কাঁদছিল। গত দেড় মাস ধরে ইয়াছিন কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও গাড়ীতে করে সর্বশেষ গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা এলাকায় পৌঁছায়। পরে বিষয়টি টহল পুলিশের নজরে এলে ইয়াছিনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে থাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইয়াছিনের নিখোঁজের বিষয়ে লাইভ করা হলে তা ইয়াছিনের পরিবারের লোকজনের নজরে আসে। পর ইয়াছিনের মা রিনা বেগম শনিবার গুরুদাসপুর থানায় এলে তার হাতে ইয়াছিনকে তুলে দেয় থানা পুলিশ।
ইয়াছিনের মা রিনা বেগম জানান, আমার ছেলে খুব চঞ্চল। দেড় মাস পূর্বে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ছেলের অবস্থান জানতে পেরে শনিবার সকালে গুরুদাসপুর থানার উদ্দেশ্যে রওনা হই। থানা আমার ছেলেকে যতœ করে আশ্রয় দিয়েছে। এতোদিন পর ছেলেকে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এজন্য থানা পুলিশ ও সাংবাদিক ভাইদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।