// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কুলাউড়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ টি চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে এবং গাড়ি চুরির সাথে জড়িত আন্তঃ জেলা ও আন্তঃ বিভাগ চোরচক্রের ২ সদস্যসহ ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ১লা আগস্ট ভোরে প্রথমে অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগীয় গাড়ী চোর চক্রের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম দুধর্ষ গাড়ী চোর মৌলভীবাজার সদর থানাধীন গুজারাই গ্রামের জনৈক আলীম মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২৭)কে আটক করা হয়। আটককৃত শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার সদর থানাধীন বেড়ীরচর এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ও বিভাগ গাড়ী চোর মৃত ফরকিত মিয়ার ছেলে মুহিবুর রহমান @ সিতুকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। শাহ আলম ও মুহিবুর রহমান @ সিতুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যমতে মৌলভীবাজার সদর থানাধীন আমতৈল ইউপির আদুপাশা গ্রামের মুহিবুর রহমান @ সিতুর শ্বশুর বাড়ী থেকে গত ১০ জুলাই কুলাউড়ার মধ্য মাগুড়া থেকে চুরি হওয়া প্রাইভেটকারটি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। এছাড়া গাড়ি চুরি সংক্রান্তে মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে গাড়ী উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে গত ১৭ জুলাই এবং ২৮ জুলাই আরোও ২টি চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। এসব গাড়ি চুরির সাথে জড়িত আন্তঃজেলার গাড়ী চোরচক্রের সদস্য- তোফায়েল মিয়াকে (২৬), সিলেট থেকে আব্দুল আলীম (৩০), মহিউদ্দিনকে (৩০), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থেকে জসিম মিয়া @ কসাই জসিম (৩৭)-কে মৌলভীবাজার সদর থেকে আবুল হোসেন @ হোসেনকে (৩১), কমলগঞ্জ থানাধীন শমশেরনগর থেকে কয়েছ মিয়া (২৭)-কে রাজনগর থেকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে- গত ১০ জুলাই যেকোন সময় কুলাউড়া পৌরসভাধীন মধ্য মাগুরা এলাকার এ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমদ (৫৫) এর শ্বশুর মরহুম আব্দুল হাকিম এর বাসার সামনের রাস্তা থেকে একটি প্রাইভেটকার চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় কুলাউড়া থানার মামলা নং-১৩, তারিখ: ১৭/০৭/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা: ৩৭৯ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ চোরাই গাড়ি উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেফতারে পুরো সিলেট জোনে অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সুদর্শন কুমার রায়, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ঘোষ এবং কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস ছালেকসহ কুলাউড়া থানার অফিসারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ, মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই/ মোঃ আনোয়ার মিয়া, এএসআই মোঃ তাজুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার ও চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার অভিযানে নামে।