আতাইকুলায় জামিনে থাকা আসামিদের বাড়িতে পুলিশের ভাংচুর

// সাঁথিয়া প্রতিনিধি: আদালত হতে জামিন প্রাপ্ত আসামিদের পুনরায় গ্রেপ্তার করতে থানা পুলিশের অভিযান। আসামি না পেয়ে থানার একদল পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে আসামির বাড়ী ও রান্নার চুলা ভাংচুরেরর কারনে বৃদ্ধ, শিশু ও প্রসুতি মায়ের অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার আতাইকুলা থানার ভবানিপুর গ্রামে। সরে জমিনে ঘুরে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই থানা পুলিশ গভীর রাতে হত্যা মামলার জামিনে আসা ব্যক্তিদের পুনরায় গ্রেপ্তার করতে যায়। আসামিদের না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের দল আসামিদের বাড়ী ও ৮/৯ টি পরিবারের রান্নার চুলা গনহারে ভেঙ্গে ফেলে। কামালের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কামালের, আয়নাল, আশরাফুল, সুরুজ, মুনসুর, নাজ্জু, সাকিমুদ্দিনের রান্নার চুলা ভেঙ্গে ফেলে। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, চুলা ভাঙ্গার কারনে সদ্য প্রসুতি মা, বৃদ্ধ, শিশুসহ আমরা রান্না করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করি। নাজ্জুর স্ত্রী রুপালী খাতুন বলেন আমার স্বামী আসামি না হয়েও পুলিশের হায়রানীর স্বীকার। পুর্ব শত্রুতার জেরে ভবানিপুর গ্রামের রিপনকে গত ১২ জুন সকাল সাড়ে আটটায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিবেশী হৃদয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ দিন পর গত ২৩জুন রিপন মারা যায়। ১২জুনেই রিপনের পিতা বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলা ননং ৬। হৃদয় ছাড়া অন্য আসামিরা জামিনে আসে। এব্যাপারে নিহত রিপনের বড় বোন শেফালি খাতুন, প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন বলেন তাদের সামনেই হৃদয় ধারালো হাসুয়া দিয়ে রিপনের মাথায় এলোপাথালি কোপ দেয়। এ বিষয়ে আতাইকুলা থানার ওসি এবং মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্ত করে জানতে পারি হৃদয় একাই রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশের ভাংচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আসামি ধরতে অভিযান চালিয়েছি। ঘর ও চুলা ভাংচুর করি নাই।