// বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদরে জিন্নাহ প্রামানিক হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জিলহক মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার দিকে বগুড়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে বুধবার রাত ৮ টার দিকে বগুড়া শহরের পূর্ব পালশা থেকে জিলহককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই উপজেলার বড় কুমিড়া গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ১৬ জুলাই প্রতিবেশী জিলহকের সঙ্গে জিন্নাহ’র মা জেলেখা বেগমের কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে জিলহক তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে ২২ জুলাই রাতে জিন্নাহ বগুড়ায় আসেন। পরের দিন বিকেলে মাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে জিলহকের বাড়িতে যান জিন্নাহ। ওই সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডতার একপর্যায়ে জিলহক কাঠ কাটার বাটাল দিয়ে জিন্নাহর পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় জিন্নাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম আরো বলেন, গ্রেপ্তার জিলহক তুচ্ছ ঘটনায় জিন্নাহকে হত্যা করেছেন। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতেই নিহত জিন্নাহার মা জেলেখা বেগম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার জিলহককে প্রধান আসামি করে তার মা জোবেদা বেগম ও ভাই জুয়লকে অভিযুক্ত করা হয়। ২৪ জুলাই ভোরেই অভিযান চালিয়ে জোবেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এছাড়াও মামলার আরেক আসামি জুয়েল এখনও পলাতক।