শিক্ষা অফিসারের সহযোগীতায়: যুগ্ম সচিব পরিচয়ে প্রধান শিক্ষকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামানের সহযোগীতায় প্রাথমিক ও গণশিা  মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব পরিচয়ে এক প্রধান শিক্ষকের ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে এ ঘটনা ঘটেছে ।

অভিযোগে জানা গেছে, গত সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান টেলিফোনে লক্ষীকুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে মোবাইল (০১৩০২২২০৮৩২) নম্বর দিয়ে কথা বলতে বলেন। পরে মোবাইলে ওই প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা  মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব পরিচয় দিয়ে ৫ হাজার টাকা দাবী করা হয়।

ভুক্তভোগী লক্ষীকুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান আমাকে টেলিফোন করে আমাকে একটা নম্বর দিয়ে বলেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কথা বলতে চান। আমাকে ০১৩০২২২০৮৩২ নম্বরে কথা বলতে বলেন। ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় ফোন দিতে বিলম্ব হওয়ায় আসাদুজ্জামান স্যার আমাকে আবাযাী ফোন দেন এবং এখনো কেন কথা বলিনি জানতে চান। তাৎক্ষনিক আমি ওই নম্বরে ফোন দিলে তিনি আমাকে সচিবের পিএস পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনার স্কুলের একটা ফাইল আমার হাতে আছে। কিছুক্ষনের মধ্যে সচিব স্যারের টেবিলে জমা দিব। এতে আপনার এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে। পরে ফাইল জমা না দেওয়ার শর্তে তিনি ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। আসাদুজ্জামান স্যার ফোন দেওয়ার জন্য বলায় আমি খুব সহজেই বিশ্বাস করেছি ওই ব্যক্তি উর্ধ্বতন কেউ। পরে তার দেওয়া (রকেট ০১৩২০৭৩৭২১৩) নম্বরে দাবীকৃত ৫ হাজার টাকা পাঠাই।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, ১০ জুলাই দুপুরে আমি লক্ষীকুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে ফোন করে একটা নম্বর দিয়ে কথা বলতে বলেছিলাম সত্যি।  অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছুই জানায় নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।