// কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ t জনগনের বিপুল ভোটে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ রাতদিন পরিশ্রম করছেন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নের জন্য। ইউনিয়নে ২২টি গ্রামে অবাধ যাতায়াত তার। বাংলাদেশের অন্যতম কনিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে খুশি তার ইউনিয়নের জনগন। তার পিতা মরহুম রুহুল আমীন খান খোকন ছিলেন ইউনিয়নের দুই-দুইবারে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ফলে তোফায়েল আহম্মেদকে এক প্রকার ঘরের ছেলে মনে করেই প্রতিটা কর্মসুচিতে ইউনিয়নের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্তস্ফুতভাবে অংশ গ্রহন করছে।
২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই ইউনিয়নের অসমাপ্ত ৪৬টি গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়নের কাজ করেছেন তিনি। এদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে, সুরুজ পুর্বপাড়া থেকে হাজী বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার ইটের সোলিং ও আরসিসি ঢালাই। আউলটিয়া থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত রাস্তা পাঁকাকরণ। দরুণ জামাই পাড়া থেকে বিশ^রোড পর্যন্ত নতুন রাস্তা তৈরী। নিয়োগী জোয়াইর পাকা রাস্তা থেকে পুরাতন মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন। সুরুজ কবরস্থানের রাস্তার উন্নয়নসহ এ পর্যন্ত ৪৬টি রাস্তার উন্নয়নের কাজ করেছেন তিনি।
এছাড়া ইউনিয়নের ৫টি মসজিদ,৩ টি গোরস্থান ও ৩টি মন্দিরের সংস্কারের কাজ করেছেন তিনি। দায়িত্ব নেয়ার পর ইউনিয়নে বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা,বিধবা ভাতার কার্ড প্রদান করেছেন প্রায় ১ হাজার জনকে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের ৩’শ জন পেয়েছেন মাতৃকালীন ভাতা। এর বাইরেও প্রতিমাসে ১৩জনকে নতুন করে দেওয়া হচ্ছে মাতৃকালীন ভাতা।
দরুণ গ্রামের জব্বার আলী,জোয়াইর গ্রামের আবু বক্কর, পাকের আলী, ঘারিন্দা গ্রামের রুবেল মিঞা, বীর নাহালী গ্রামের ওসমান মিঞা, রানাগাছা গ্রামের সোনাভানু, অনিতা রাণী জানান, আমাদের ইউনিয়নে এর আগেও অনেক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু কেও আমাগো তোফায়েল চেয়ারম্যানের মতো এত্ত কাজ ও জনগনের খোঁজখবর রাখেনাই। তার কাছে প্রয়োজনে দিনেরাতে যেকোন সময় যাওয়া যায়।
তারা আরও জানান, ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো আমাদের ওই রাস্তাগুলোর সংস্কার ও তৈরী করার জন্য। সামান্য বৃষ্টি হলেই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যেত গ্রামবাসীর, জনদূর্ভোগ পৌঁছাতো চরমে। রাস্তাগুলো তৈরী হওয়াতে এখন আমাদের চলাচলের আর কোন সমস্যা হয়না। এছাড়া বৃষ্টির দিনে সুরুজ কবরস্থানে যাতায়াত খুব কষ্টকর ছিলো। রাস্তাটি করে দেওয়ার ফলে বৃষ্টির দিনেও মৃতদের দাফনে কোন প্রকার সমস্যা হবেনা। দরুণ গ্রামটি টাঙ্গাইল পৌর এলাকার একদম লাগোয়া হলেও বিশ^রোডে কিম্বা শহরে যাতায়াতের কোন রাস্তা ছিলো না। বর্ষাকালে আমাদের নৌকায় যাতায়াত করতে হতো। বর্তমানে রাস্তাটি হওয়ায় আমরা শহরে নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারছি।
ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, ইউনিয়নটি টাঙ্গাইল শহরের লাগোয়া হওয়ায় ইউনিয়নের অনেক লোক শহরে গিয়ে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বিশেষ করে বর্ষাকালে তাদের কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে পরতো। আমি দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের কাঁচাপাকা ৪৬টি গ্রামীন সড়ক নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার করেছি। বিশেষ করে দরুণ গ্রামের যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তাই ছিলোনা। বর্তমানে বিশ^রোড থেকে দরুণ জামাইপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি তৈরী করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ছানোয়ার হোসেনের সার্বিক সহযোগীতায় ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়নমুলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমুলক কাজের চিত্র প্রায় প্রতি দিনই বিভিন্ন গ্রামে, চা স্টলে ও শুক্রবার জুম্মা নামাজের পুর্বে ইউনিয়নের জনগনের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে। এতে জনগনের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ইউনিয়ন থেকে নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।