মাদরাসা দ¦ন্দ্বে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

// নাটোর প্রতিনিধি.

ভূয়া দলিলে গুরুদাসপুরের হাঁসমারী দারুল উলুম ফোরকানিয়া মাদরাসার জমি দখল নিতে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। মাদরাসার শিক্ষকসহ গ্রামের ২০জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম হাঁসমারী গ্রামর মৃত ছকিরুদ্দিনের ছেলে।
শনিবার সকাল দশটায় উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের হাঁসমারী গ্রামের ওই মাদরাসার সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে গ্রামের ৪‘শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মনিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলামসহ এলাকাবাসী জানান, সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে হাঁসমারী গ্রামে ১৯৬৮ সালে ফোরকানিয়া নামে একটি মাদরাসা চালু হয়। মাদরাসাটির নামে ভিটাসহ প্রায় পাঁচ বিঘা জমি রয়েছে। ফোরকানিয়ার পাশাপাশি ২০০৩ সালে ওই প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র এবতেদায়ি শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়।

স্থানীয় আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ আলী, খুরদেশ আলমসহ অন্তত ৫০ জন অভিযোগ করেন, সাইফুল মাদরাসার সভাপতি হওয়ার পর তার আত্মীয়দের এবতেদায়ি শাখায় চাকরি দেন এবং প্রতিষ্ঠানের জমিটি দখলে নেন। গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়।

দ্বন্দ্বের জেরে এলাকাবাসি সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি পরিবর্তন করে স্থানীয় আশরাফুল ইসলামকে সভাপতির দায়িত্ব দেন। বর্তমান সভাপতি আশরাফুল ইসলাম জানান, নানা অনিয়মের কারণে সাইফুলকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একারণে তিনি ফোরকানিয়া মাদরাসার ৮.৫ শতাংশ জমি ১৯৭০ সালের তারিখ দেখিয়ে হাঁসমারী স¦তন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসার নামে জাল দলিল প্রস্তুত করেন। যা সরকারি বালামে জাল দলিলটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এবতেদায়ি মাদরাসার নামে করা দলিলের বলে সাইফুল প্রতিষ্ঠানটি দখলের চেষ্টা করেন চলতি বছরের ১৫ মার্চ। ওইদিন দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পড়ে সাইফুল ইসলামের পক্ষে স্থানীয় লুৎফর রহমানের ছেলে নয়ন পারভেজ বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আবদুস সালাম, জাহিদুল ইসলাম, আজিমুদ্দিন, আবদুল মান্নানসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
শিক্ষক জাদিুল ইসলাম জানান, সাইফুল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। আধিপত্য বজায় রাখার জন্য তিনি গ্রামের মাসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ এবং মাদরাসার কমিটি নিয়েও দ্বন্দ্বে লিপ্ত আছেন। তাকে কেউ না চাইলেও তিনি জোর করে কমিটিতে থেকে সবকিছু হরন করতে চান।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের ছেলে সানোয়ার হোসেন তার বাবার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ প্রতিহিংসা পরায়ণ। মাদরাসা নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। বিধি মোতাবেক এখনো তার বাবাই (সাইফুল) ওই মাদরাসার সভাপতি।