// নাটোর প্রতিনিধি
গত ২৩ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাশিলা গ্রামের ২৪টি পরিবারের ঘরবাড়ী ভস্মীভূত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগীদের দাবির মুখে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। ঘটনার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে গেলে ভুক্তভোগীরা পানির অভাব ঘোচাতে পুকুর খনন করে দেওয়ার দাবি জানান। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ব্যবহার সুবিধার্থে একটি পুকুর খনন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাশিলা গ্রামে ছুটে যান জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। এসময় তিনি বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) মাধ্যমে ২০ শতাংশ খাস জমিতে অবস্থিত বাশিলা মৎস্যজীবি পাড়া পুকুর পুনঃখনন করে ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পুকুর খনন কাজ পরিদর্শণ করেন। পরে জেলা প্রশাসক ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সাথে কথা বলেন ও খোজ খবর নেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পরিকল্পিত আবাসন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা যায় কিনা সে বিষয়েও তাদের সাথে কথা বলেন তিনি। পরে তিনি পার্শ্ববর্তী মাঠে সাড়ে তিন কিলোমিটার খাল খনন করে স্থানীয় কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করাসহ সেখানকার মৎস্য পেশাজীবি পরিবারগুলোর জীবনমানের উন্নয়নকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা জানান, ভুক্তভোগীদের দাবি ছিল একটি পুকুর খনন করে দেওয়ার। অগ্নিকান্ডের সময় পুকুরে পানি থাকলে এত ভয়াবহ দূর্ঘটনা হয়তো ঘটত না। স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল নাটোরে আসলে এটির উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া এখানকার মানুষের জীবন মানের উন্নয়নকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নলডঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আক্তার, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (বিএমডিএ) নাটোর জোনের সহকারি প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল করিম, বিএমডিএ’র নাটোর রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান, উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মতিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রির ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাশিলা গ্রামের ২৪ টি পরিবারের ৩০টি ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায়।