ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীতে তালিকাভূক্ত ৩২৯ মিলারের মধ্যে বোরো মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে বাদ পড়ছে ২৭৪ মিলার। এসব মিলার আমন মৌসুমে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ায় বোরো মৌসুমে চালের সরকারি মূল্য বৃদ্ধি স্বত্বেও সরবারাহের সুযোগ পাচ্ছেন না। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বুধবার এ খবর জানিয়েছেন।
বুধবার (১৭ মে) সকালে ঈশ্বরদীর দুটি খাদ্যগুদামে বোরা মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ নূরুজ্জামান বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও টি এ রাহসিন কবীর।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জয়নাল আবেদীন, ঈশ্বরদী এলএসডি’র এসএমও মাহফুজ-আল-আসাদ, মুলাডুলি খাদ্য গুদামের ম্যানেজার আব্দুল মান্নান সেখ, কৃষকলীগের আহব্বায়ক ফজলুর রহমান মালিথা, চালকল মালিক সমিতির সভাপতি জুলমত হায়দার, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বিশ্বাসসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ঈশ্বরদী এসএমও মাহফুজ-আল-আসাদ জানান, বোরো মৌসুমে ঈশ্বরদীর দুটি গুদামে সরবরাহের জন্য মোট ৮,৯৫২ মে:টন চাল এবং ২২৩ মে:টন ধান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ৫৫ জন মিলারের মধ্যে ঈশ্বরদী এলএসডিতে ৪ হাজার ৪৭৬ টন চাল, ১১১ টন ধান এবং মুলাডুলি সিএসডিতে ৪ হাজার ৪৭৬ টন চাল, ১১২ টন ধান সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে। সরকার এবারে ৪৪ টাকা কেজি দরে চাল এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ধান ক্রয় করবে। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত সংগ্রহ অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, ঈশ্বরদীতে তালিকাভুক্ত মিলারের সংখ্যা ছিল ৩২৯টি। এর মধ্যে ১৭টি অটো রাইস মিল ও ৩১২টি হাসকিং মিল রয়েছে। আমন মৌসুমে ৬টি অটো এবং ৪৯টি হাসকিং মিল চুক্তিবদ্ধ হয়। যা মোট মিলের মাত্র ১৬ দশমিক ৪১ ভাগ। বারংবার অনুরোধ এবং সময় বৃদ্ধি করা স্বত্বেও ২৭৪ জন মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়নি। যেকারণে আমন মৌসুমে সরকারের সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়। এবারে বোরো মৌসুমে ওই ২৭৪ জন মিলারকে বাদ রেখে ৫৫ জন মিলারের মধ্যে মোট বরাদ্দ বন্টন করা হয়েছে।
চালকল মালিক সমিতির সভাপতি জুলমত হায়দার জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া ৪২ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে গিয়ে বিপুল লোকসানের মূখে পড়েন মিলাররা। ওই সময় বাজারমূল্য অপেক্ষা সরকারের ক্রয়মূল্য কম ছিল। লোকসান দিয়ে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহে মিলাররা আগ্রহী ছিলেন না। যেকারণে ওই সময়ে ঈশ্বরদীর তালিকাভূক্ত প্রায় ৮৪ ভাগ মিলার চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়নি।