// পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলায় ও সাঁথিয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষার্থীসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সাঁথিয়ার কাশিনাথপুরের সাটিয়াকোলা ও পৌনে ১২টার দিকে আতাইকুলা এলাকার পুষ্পপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-সদর উপজেলার পুষ্পপাড়া পশ্চিম বনগ্রাম গ্রামের মৃত মিলন শেখের মেয়ে ও পাবনা ইসলামিয়া কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মিতু খাতুন (১৮), সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সামান্যপাড়ার চাদু মৃধার ছেলে জুয়েল মৃধা (২৫), একই গ্রামের আবদুস সোবহান শেখের ছেলে সুরুজ শেখ (২২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ থেকে ফিরছিলেন মিতু খাতুন। পথে পুষ্পপাড়ার বিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ওমর পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এসময় গুরুত্বর উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
অপরদিকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বেড়ায় ইট দিয়ে চিনাখড়ার দিকে ফিরতেছিলেন জুয়েল-সুরুজরা। এসময় কাশিনাথপুরের সাটিয়াকোলা এলাকায় পৌঁছালে ঢাকামুখি শাহজাদপুর ট্রাভেলসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। আরেকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া পথে মারা যান।
তবে নিহত মিতু খাতুনের চাচা শাহিন শেখের দাবি- মিতুর সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন তাকে জানিয়েছে ওই সময় তাদের দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মিতু বাসের সামনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এবিষয়ে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন মিতু। হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। এখন অন্য কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
পাবনার মাধপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, ঢাকামুখী বাস ও পাবনামুখি করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও ঘাতক বাস ও দুর্ঘনাকবলিত করিমন উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অপরদিকে ঈশ্বরদীর বাঘইল গ্রামের সরদারপাড়া এলাকায় মোটর সাইকেলের ও কুত্তাগাড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার রুইগাড়ী এলাকার শ্রী. গোপাল ছেলে বাশুদেব (৪০) ও হয়েছেন কুজেপুকুর এলাকার মো. মসলেম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর (৪৫)। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা ঈশ্বরদী ইপিজেডের কর্মী।