// ইয়ানূর রহমান : কালবৈশাখী তান্ডবে শার্শার আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তাদের চাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ভবিষ্যতের স্বপ্নভেঙ্গে যেতে বসেছে ৷
উপজেলার বিভিন্ন বাগানে-বাগানে মাটিতে পড়ে থাকা আমের দৃশ্য চোখে পড়ে। বাগানে গাছের ডাল ভেঙে পড়া সহ ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে অধিকাংশ বাগানের আম।
স্বপ্ন ভঙ্গ আম চাষিরা বলেন, ঝড়ে আম বাগানের প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ আম ঝরে পড়ে গেছে। তবে, কৃষি বিভাগ বলছেন, তারা এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেননি।
উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকার আমচাষি রাজু বলেন, ৩০ বিঘা জমির ওপর আম বাগান রয়েছে তার। ঝড়ে বাগানের ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ আম মাটিতে পড়ে গেছে। অনেক গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। আম এখনও পরিপক্ক না হওয়ায়, ঝরে পড়া আম ৪ থেকে ৫ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হবে না। আর যে সব আম ফেটে গেছে, সে সব আম কেউ কিনবে না।
শার্শার বাগআঁচড়া, বেনাপোল, কায়বা, গোগা এলাকার কয়েকজন আম চাষী জানান, আম্ফান ঝড়সহ বিভিন্ন ঝড়ে গত কয়েক বছরে লোকসানের পরও এবার আমের ব্যাপক ফলন হয়েছিল। এতে করে তারা স্বপ্ন দেখছিল লাভের। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ১০ মিনিটের কারবৈশাখীর ঝড়ে সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।
একই সাথে, এ ঝড়ে আম চাষিদের পাশাপাশি ধান চাষিদেরও স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। তাদের বোরো ধানেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ধান গাছ হেলে পড়া ও জমিতে পানি জমে যাওয়ায় পঁচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান কৃষকেরা। সেই সাথে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, শার্শায় এবার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এবার বাগানে আম ভালো ধরেছিল। তবে কালবৈশাখী ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে আমের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা যায়নি এবং ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।#