বৈশাখ

এনামুল হক টগর

বৈশাখের মধ্যরাতে একটি ভূমিষ্ঠ শিশুর সাম্য বন্টন প্রাণের বিপ্লব ধ্বনি শুনি।

অসহায় মানুষের জীবন পরিবর্তনের জন্য আসন্ন কর্মের আহ্বান চেতনা শুনি। 

আগামী সুষম বণ্টন অধিকার আন্দোলনে সদ্য শিশুদের যাত্রা হবে নতুন আবিষ্কার কল্যাণ।

ক্রমেই তাঁরা অগ্রজ কিশোর বন্ধুদের বার্তা পাঠাবে সম্পদ বন্টন অধিকার সমান।

আসন্ন প্রাণশক্তির অন্ন বস্ত্র চিকিৎসা জ্ঞানে তাঁরা উৎপাদন করবে নর নব পণ্য শস্য নন্দন।

দেশ সমাজ ও পৃথিবীকে তাঁরা গড়ে তুলবে দক্ষ কর্মজীবী ও মানব সেবায় প্রীতি বন্ধন।

প্রিয় জন্মভূমিকে সভ্যতার আর্দশে জাগিয়ে তুলবে আলোকপ্রাপ্ত সৌন্দর্যে মহৎ।

গ্রাম ও নগরের প্রান্তরে নতুন সংস্কার হবে আমাদের উত্তরসূরীদের জীবন উন্নত।

অগ্রজ কিশোর মৃদু হেসে সামনে ও পেছনে তাকিয়ে সদ্য শিশুটিদের গোপনে বললো।

হেঁটে এসো,হেঁটে এসো,নতুন শিশু,সাবাস বাংলাদেশ, নতুন সাম্য প্রজন্ম,আহবান দলে দলে।

অগ্ৰজ কিশোর শিশুদের দিকে তাকিয়ে বললো আমিও একদিন,

তোমাদের মতো স্বপ্ন দেখতাম মহৎ চেতনায় নতুন আশা নতুন দিন।

হেঁটে যেতাম মৃত্তিকার নীল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে দিকে দিকে সুদূর কল্যাণ উদয়।

কিন্তু দীর্ঘদিন পর লক্ষ করলাম আমার আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নগুলো ক্রমেই বিপন্ন বিস্ময়।

মরিচিকার ফাঁদে ও প্রতারকের যন্ত্রণায় সমাজ কাঁদে বেদনা বিফল  জীর্ণশীর্ণ জীবন।

ক্রমশ স্বপ্নগুলো ব্যর্থ ও পরাজিত হতে লাগলো জীবনের হাজারও বাসনা ব্যথায় ক্রন্দন।

চিন্তাশীল অভিজ্ঞতায় ভাবি,কিভাবে শিশুদের অনাগত জীবন,

আর প্রতিশ্রুতিগুলো ভবিষ্যৎ দৃঢ় দীপ্ত হবে সাম্য মৈত্রী মহৎ সংস্কার নিপুণ?

হায় হতভাগা সমাজ জীবন,আমাদের দেশে অল্প সংখ্যক মানুষই সৎ কর্মশীল!

আর কিছু সংখ্যক মানুষই ন্যায়পরায়ণ ও চেতনার আলোতে স্বচ্ছ দেশপ্রেমিক সবল।

আরো দেখি অধিকাংশ মানুষই দূর্নীতিবাজ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী লুটেরা ও মাদক নেশায় গরল!

তারা সব সময়ই মিথ্যা আশ্বাসের মধ্যে দিয়ে জীবন গড়ে তুলতে চায় আগামী ব্যর্থ পৃথিবী নিষ্ফল।

কিভাবে বলবো আগামী দিনে শিশুরাই হবে ন্যায়পরায়ণ ও সততার প্রতীক?

কিভাবে বলবো সময়ের চলমান কিশোরাই হবে ক্ষুধামুক্তির অভিজ্ঞ বিবেক।

কিভাবে বলবো নব নব প্রজন্মরাই ফুটে উঠবে,জেগে উঠবে,আলোকপ্রাপ্ত বিশোধন।

হঠাৎ বিস্ময় শেষ রাতে ভূমিষ্ঠ শিশুটি আমাকে আবার স্বপ্ন দেখলো সমান অধিকার!

সে আজ প্রভাত মৃত্তিকার গভীরে একটি নতুন বীজ রূয়ে দিয়েছে আগামীর বিজ্ঞা সংস্কার!

বীজটি একদিন সোনালী রোদে অঙ্কুরিত হবে পাশের চারাগাছকে স্বপ্ন দেখাবে সুষম বণ্টন শ্রমজীবী অধিকার।

সময়ের প্রাণশক্তিতে সে একদিন পরিণত হবে বিশাল মহিরুহ মহা-মূল্যবান সমাজ সংস্কারক।

তাঁর আল্দোলিত শাখা-প্রশাখায় একদিন সেবা ও কল্যাণ ধ্বনিত হবে বিদগ্ধ জাগরণে আলোক।

তাঁর পাতায় পাতায় সূর্যালোকের স্পন্দন হবে অনাবিল নতুন শিশুদের জীবন যৌবন কর্ম নন্দন।

বৈশাখের দূর্যোগ ঝড়ে নদী সমুদ্র ও আকাশকে শোভিত করবে মুক্তির জয়গান।

কিন্তু প্রকৃতির ঝড় তুফান বনদস্যু ও বন্যায় আমাদের দেহকে ক্ষত-বিক্ষত করে বেদনায় মলিন।

এতো দুঃখ কষ্ট ও বেদনার ভেতর দিয়ে আমাদের বেড়ে ওঠা বৈশাখে ভূমিষ্ঠ নতুন শিশুর জীবন।

আমরাই নব নব ফুটাবো সুন্দর ফুল,সুমিষ্ট ফল ও কল্যাণে ভূবন পরিশুদ্ধ প্রাণ।

দেশপ্রেমের সেবায় পৃথিবী মহৎ হয়ে উঠবে শান্তির পরশ পাথর শিশুদের জ্ঞানে মহৎ কল্যাণ।

অগ্রজ কিশোর নতুন শিশু ও সদ্য চারাগাছকে তত্ত্বজ্ঞানে বললো নতুন চেতনায়।

হেঁটে এসো,হেঁটে এসো,কর্মকৌশলে ও কর্মপ্রচেষ্টায় ভবিষ্যৎকে জাগিয়ে তুলি আমাদের পরিচয়।

বাস্তবতার ভেতর দিয়ে জীবনকে গড়ে তুলি অভিজ্ঞতায় অবিস্মরণীয়।

আসন্ন শিশু ও নতুন চারাগাছগুলো যেন পরিশুদ্ধ আলো ছড়াতে পারে সোনালী রোদ্রে দীর্ঘ জীবন উদয়।

সবর ধৈর্যশীল শিশু কিশোর ও  চারাগাছ গুলো একদিন অভিজ্ঞ দক্ষতায়,

জেগে উঠবে কর্মকৌশল ও কর্মপ্রচেষ্টায় শক্তিধর মহিরুহ মানবতার চৈতন্যে দীপ্তকর।

চলমান ও আসন্ন বৈশাখে তাঁরা হেঁটে যাবে সভ্যতার নতুন অভিজ্ঞতায় গৌরব মর্যাদায় সংস্কার।

সুস্বাদু ফল ও সুন্দর ফুলের সৌরভে জাতি অক্সিজেন পাবে নিঃশ্বস প্রশ্বাস প্রশান্ত দেশপ্রেম বিনয়।।