রবি শস্য পরিবহনে কদর বাড়ছে চাকাযুক্ত বাহনের

// চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
সভ্যতার বিবর্তনে দিনের পর দিন চাকাযুক্ত দ্রুতগতির বাহনের কদর বাড়ছে। বিশ্বের সর্বত্র এটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যোগাযোগসহ এর প্রসার ঘটছে পণ্য পরিবহনেও। আবার কেবল কাঁচা-পাকা সড়কই নয় মাঠে ময়দানেও নজর কাড়ছে চাকাযুক্ত বাহন। পাবনার চাটমোহরের ফসলের মাঠগুলোতেও ফসল পরিবহনে চাকাযুক্ত বিভিন্ন বাহনের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
দিনকে দিন চলনবিল অধ্যুষিত পাবনার চাটমোহরে ক্ষেত থেকে বাড়িতে ফসল পরিবহনে চাকাযুক্ত বাহনের কদর বাড়ছে। অতীতে এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ রবি মৌসুমে মাথায় করে ফসল বাড়িতে আনতেন। সময়ের পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তন ঘটছে মানুষের এ প্রবনতার। বর্তমান সময়ে আরাম আয়েশ পেতে, সময় ও শ্রমিক খরচ বাঁচাতে এবং ঝুঁকি এড়াতে অধিকাংশ মানুষ গরুর গাড়ি, মহিষের গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি ও ইঞ্জিন চালিত লছিমন, করিমন, ট্রলিসহ বিভিন্ন বাহনে ফসল আনছেন বাড়িতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবি মৌসুমে চাটমোহরের বিভিন্ন মাঠে গম, খেশারী, মশুর, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন, কালোজিরাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়। সাধারণত চৈত্র মাসে এসব ফসল ঘরে তোলেন গৃহস্থরা। পাকা ফসল কাটার পর তা ঝড় বৃষ্টি থেকে রক্ষায় অতি দ্রুত ঘরে তুলতে সনাতন পদ্ধতির বদলে এখন গৃহস্থরা বিভিন্ন যানবাহনের উপর নির্ভর করেন। এর মধ্যে গরু-মহিষের গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি ও ইঞ্জিন চালিত লছিমন, করিমন, ট্রলি অন্যতম।

ঘোড়ার গাড়ি


ঘোড়ার গাড়ি চালক, পাবনার চাটমোহরের বরদানগর গ্রামের সজীব হোসেন জানান, একটি ঘোড়ার গাড়িতে এক বাড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ জমির ফসল পরিবহন করা যায়। দূরত্ব ভেদে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ গাড়ি ফসল পরিবহন করতে পারেন তারা। এতে দৈনিক প্রায় দুই হাজার টাকা ভাড়া পাচ্ছেন তিনি। তার মতো অরো অনেকে বিভিন্ন চাকাযুক্ত বাহনে ফসল পরিবহন করছেন। তবে সব সময় কাজ থাকে না বলেও জানান তিনি। যখন কাজ থাকেনা তখনও ঘোড়াকে খাবার দিতে হয়। তাই লাভ খুব বেশি থাকে না।
মহিষের গাড়ি ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলি চালকেরা জানান, ফসল ওঠার সময়ে কদর বাড়ে আমাদের বাহনের। আমরা এসময়টার অপেক্ষায় থাকি। গৃহস্থরা জানান, শ্রমিকেরা এখন আর মাথায় করে ফসল পরিবহন করতে চায়না। এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপারও। তাই দ্রুত ফসল ঘরে তুলতে চাকাযুক্ত যানবাহনে আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।