সূর্য্যমুখীর হাসি দেখছে সাঁথিয়ার কৃষক

                  

আবু ইসহাক, সাঁথিয়াঃ
দর্শনীয় স্থানের শোভাবর্ধন ফুল ছিল। সেই সূর্যমুখীর হলুদ আভার হাসিতে হাসছেন সাঁথিয়ার কৃষক। সবুজ পাতার সামনে মুখ উচু করে সুর্য্যরে মত হাসি দিয়ে ফুটে আছে সূর্য্যফুল। এ ফুলের বাগানে প্রতিদিন বসে প্রজাপ্রতি আর মৌমাছির মেলা। চোখ জুড়ানো দৃশ্য মোহিত করে সবাইকে। এ ফুল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি রয়েছে এর বহুবিধ গুনও। আর চষে খরচ কম লাভ বেশী। ভোজ্য তেলের দামের ও চাহিদার উপর ভিত্তি করে সূর্য্যমুখীর চাষে ঝুকছে পাবনার সাঁথিয়ার কৃষক। ফসলের আইলসহ একক চাষ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার ফারুক হোসেন চৌধুরী জানান গত বছর উপজেলায় ১০ হেক্টরের চাষ হয়েছিল এ বছর ১৫ হেক্টরের চাষ হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আঃ মান্নান জানান, বিনা চাষে পেয়াজ, রসুন ও গমের আইলে সূর্য্য মুখী চাষ করে তেলের চাহিদা মিটাচ্ছেন কৃষক। এক দিকে আইলের ব্যবহার অন্য দিকে পোকার আক্রামন থেকে রক্ষা পাচ্ছে ফসল। উপজেলার হাটবাড়িয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মজনু, কোবাদ আলীসহ অনেকে জমিতে বিনা চাষে রসুন, পেয়াজের আইলে সূর্য্যমুখীর চাষ করছেন। হাটবাড়িয়া গ্রামের মজিবরের ছেলে হাসান আলী ৩৩ শতাংশে প্রনোদনার মাধ্যমে বীজ ও সার পেয়ে সূর্য্যমুখীর চাষ করেছেন। প্রত্যেক গাছে বড় সাইজের ফুল ফুটেছে। প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভাল ফলনের আশা করছেন তিনি।
উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, পেয়াজ, রসুনের ক্ষতিকর থিপ্স ও জাব পোকা হলুদ রং আকৃষ্ট করে। পোকা গুলো সুর্য্যমূখী ফুলে যায় ফুলের ক্ষতি করতে পারে না,পেয়াজ, রসুন আক্রান্ত থেকে রক্ষা পায়। এক দিকে পড়ে থাকা আইলে ব্যবহার হলো ও কৃষক লাভবান হলো। হাসান আলীর এক বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১০ মন ফল হলে এতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। সুর্য্যমূখীর বীজ থেকে শতকরা ৪০ ভাগ তেল হয়। এ তেল বিশ্ব নন্দ্বিত অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ।