পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়ার ইলেকতমা মডেল টাউন প্রকল্পের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভারাটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে নিজের ভাই-বোনকে বেধড়ক মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান। ঘটনার ৬দিন অতিবাহিত হলেও এখনও মামলা নেয়নি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন অভিযুক্ত আতিয়ার রহমান বাবু খান। ফলে ভুক্তভোগীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগীরা হলেন- পাবনা শহরের আটুয়া বাবলাতলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এবং মেয়ে খুশি খাতুন।
অভিযুক্তরা হলেন- ভুক্তভোগীদের বড়ভাই আতিয়ার রহমান বাবু খান এবং গাছপাড়ার ইনতাজ, জহুরুল, রিয়াজুল ও শাহিন মেম্বারসহ বেশ কয়েকজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ সার্ভেয়ার (আমিন) নিয়ে জমি পরিমাপ করতে যান মোস্তাফিজুর রহমান ও তার বোন খুশি খাতুন। এদিন সকালে তারা গাছপাড়ার ইলেকতমা মডেল টাউন প্রকল্পে পৌঁছালে ইনতাজ, জহুরুল, রিয়াজুল ও শাহিন মেম্বারসহ বেশ কয়েকজন তাদের ওপর হামলা করে বেধরক মারধর করেন। এ সময় খুশি খাতুন গুরুতর আহত হোন। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খুশি খাতুন বলেন, ‘গাছপাড়ায় প্রায় ৮৫ বিঘা জমি মালিক ছিলেন আমাদের বাবা আব্দুর রহমান। তিনি মারা গেলে উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হই আমরা ৮ ভাই-বোন। কিন্তু বড় ভাই আতিয়ার রহমান বাবু খান প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রায় ২৭ বিঘা জমি দখল করেন এবং বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেন। এক জমি একাধিকবারও তিনি বিক্রি করেছেন। অনেকে এখনও জমি বুঝিয়ে পাননি। সর্বশেষ বিএস রেকর্ডে তিনি আগের বিক্রি করা জমিসহ বেশ কয়েক বিঘা জমি নিজের নামে রেকর্ড করেছেন, এনিয়ে মামলা চলমান। তারপরও তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে এখনও জমি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার ৬ দিন হলো কিন্তু পুলিশ এখনও আমাদের মামলা নেয়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের এভাবে মারধরের পরও যদি থানা মামলা না নেয়, বিচার না পাই তাহলে কোথায় যাবো?’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতিয়ার হোসেন বাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কুপা সিন্দু বালা বলেন, প্রতিদিন তো কতই অভিযোগ থানায় জমা পড়ে। কোন অফিসারের কাছে অভিযোগটা দিয়েছে সেটা খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।