// বগুড়া প্রতিনিধি: স্কুলটিতে আগে কোনো শহীদ মিনার ছিল না। তাই ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তবে আসছে ২৬ মার্চ সেটি হবে না। কারণ পভারটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (পিডিপি) নামের এক এনজিও বিদ্যালয়ে তৈরি করে দিয়েছে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার।
বগুড়ার গাবতলীর বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে সোনামুয়া গ্রামের শহীদ কামরুজ্জামান বীর বিক্রম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাও জানানো হয়।
এই সময় বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী, পিডিপি’র নির্বাহী পরিচালক বজলুর রহমান বাপ্পি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম রনি, ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য আব্দুল মজিদ রিপন উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম রনি জানান, শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারতেন না। এখন থেকে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই ভাষা তাদের যথাযথ মর্যাদায় সম্মান জানানো সম্ভব হবে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পিডিপির প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।
পভারটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (পিডিপি) নির্বাহী পরিচালক বজলুর রহমান বাপ্পি বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর জন্য এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। শহীদ মিনারের মাধ্যমে আমাদের খুদে শিক্ষার্থীরা তাদের বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে পারবে। প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ভাষা শহীদসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করা। এরকম মহৎ উদ্যােগের সাথী হতে পারা আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্যেও গর্বের৷
বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী হলেন, পিডিপি এনজিও একটি মহৎ কাজ করেছে। যান্ত্রিকতার যুগে আমরা আমাদের বীর সন্তানদের কথা ভুলে যায়৷ এখন থেকে খুব সহজে এখানে জাতীয় সব দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে৷