সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
ডিজেল, মবিলসহ জালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় শ্যালো, পাম্পে খরচ বেশী হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোডের পানির দিকে ঝুকছে কৃষক। বিঘা প্রতি ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় ইরি, বোরো চাষ হয় পানি উন্নয়ন বোডের পানিতে।
সরেজমিনে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামের মাঠের আই থ্রি. এস সিক্স ক্যানেল সংস্কার ও সিসি ওয়ার্ক ইরিগ্রেশন কাজে গেলে দেখা যায়, ক্যানেল সংস্কার করে সিসি’র (সিমেন্ট ও কঙ্কিট) কাজ চলছে। উপসহকারী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন, মনমথপুর, সোনাতলা, মটকা, হলুদঘরসহ আশ পাশের ৭/৮ গ্রামের প্রায় দুই হাজার একর জমির ইরিগ্রেশন হয় মনমথপুর গ্রামের ক্যানেলের দুই পাশের মাঠে। স্থানীয় কৃষকদের চাহিদার ভিত্তিতে আই থ্রি. এস সিক্স ক্যানেল সংস্কার ও সিসি ওয়ার্ক কাজটি করা হচ্ছে। মনমথপুর ক্যানেলের পানি বন্দোবস্ত কমিটির সভাপতি আঃ কুদ্দস ও সাবেক সভাপতি আঃ কুদ্দস খান বলেন, ক্যানেলের দুই পারে সাত/আট গ্রামের লোকের প্রায় ২ হাজার একর জমিতে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনে ইরি-বোরো ধানের চাষ হত। মেশিনের মালিকরা চাষের জমির চার ভাগের এক ভাগ ফসল নিত। চাষ, সার, বিষ খরচ করে তেমন কিছু থাকত না কৃষকের। অপর দিকে পনি উন্নয়ন বোডের পানি বিঘা প্রতি ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় ইরি, বোরো চাষ হয়। এতে আমাদের অনেক লাভ হয়। মনমথপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল আলম, শামীম, মাহমুদুল হাসান, ফারুক, সোনাতলা গ্রামের রাজা, মটকা গ্রামের আঃ হাই, মালেক, সাইদসহ জমিতে পানি দেয়া সহজ ও লাভ হয় বলে জানান।
পাউবোর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (বেড়া) আবুল কাশেম বলেন, ১৯৯১-৯২ সালে এসকল প্রকল্প চালু হলেও প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর থেকে আবার বরাদ্ধ এলে ওই বছরে তিনটি ক্যানেল সংস্কার করে চালু করলে কৃষক সুফল পায়। এ বছর প্রকল্পগুলো চালু হলে কৃষকের পানির অভাব হবে না। তারা চাহিদা মত পানির সেচ দিয়ে কম খরচে ফসল ফলাতে পারবে। কৃষি বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য ভিশন ফসল উপার্জন করতে পারবে কৃষক।