চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরের বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠের টপসয়েল কেটে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। দিনে এবং রাতে এস্কেভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে এলাকার কয়েকটি ইটের ভাটায়। কেটে নেওয়া হচ্ছে নদীর মাটিও। ট্রাক ও ট্রলিযোগে কর্তনকৃত মাটি পরিবহন করায় ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা। ধুলো বালিতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর মৌজার কুজোর মোড় থেকে বিন্যাবাড়ি অভিমুখী সড়কের দক্ষিণ পাশে গেলে দেখা যায় এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাঠের ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এ স্পটে অনুমোদন ছাড়াই মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে গত তিন দিন যাবত। কয়েকটি মিনি ট্রাক যোগে মাটি যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ইটের ভাটায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় আজমত আলী নামক একজন মাটি ব্যবসায়ী মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এ ব্যাপারে আজমত আলী জানান, মাটি কাটার অনুমোদন নেই তার।
এছাড়া বোয়াইলমারী, সোনাহার পাড়াসহ বিভিন্ন মাঠ থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি কেটে বিক্রি করছে। শনিবার বিকেলে চিরইল বিলে পুকুর খনন শুরু করেন বেসরকারি সংস্থা পিসিডির পরিচালক শফিকুল ইসলাম। এলাকার কৃষকরা অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৎক্ষনাত তা বন্ধ করে দেন।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, ফসলি জমির মালিকরা স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীদের সাথে চুক্তি করে মাটি বিক্রি করছে। মাটি বহনকারী বিভিন্ন যানবাহনের দাপটে রাস্তা গুলোর ক্ষতি হচ্ছে। পাশিপাশি মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে পথ চলাচলকারী মানুষের শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। সূত্র মতে, প্রতি টলি মাটি বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৭শ টাকায়। প্রতি মিনি ট্রাক ভর্তি মাটি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকায়। মাটি বহন করার সময় আশপাশের জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানোর পর কেউ কেউ পুকুর খনন বন্ধ করে দেন। কিছুদিন পরে আবার শুরু করেন। এভাবেই চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন আর মাটি বিক্রির উৎসব।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানজিনা খাতুন বলেন, ফসলী জমিতে পুকুর খননের খবর পেলেই আমরা তা বন্ধ করে দেই। আইনানুগ ব্যবস্থা নেই। আমি এখনি খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।