সোনামনির চোখে ঘুম আনতে

আপনার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেসব শিশু সঠিক পরিমাণে ঘুমায় তাদের ওজন, দৈর্ঘ্য ও মাথার পরিধি ঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বেশিরভাগ বাবা-মাকে শিশুকে রাতে ঘুম পাড়াতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু মা-বাবা হলে ধৈর্য রাখতেই হয়। উপায় মেনে চললে শিশুদের ঘুম পাড়ানো সহজ হয় । চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার শিশুকে কীভাবে খুব সহজেই ঘুম পাড়াবেন:

ঘুমানোর সময়সূচি ঠিক করুন
প্রত্যেকের একটি অভ্যন্তরীণ ঘড়ি থাকে- যাকে বলা হয় সার্কাডিয়ান রিদম। যা দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শারীরিক কার্য পরিচালনা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা প্রায় ১২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সার্কাডিয়ান রিদমের বিকাশ ঘটায়। কিন্তু এটি সব শিশুর একইভাবে নাও হতে পারে। তাই শিশুর প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম পাড়াতে হবে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘরের আলো নিভিয়ে দিন
রাতে কৃত্রিম আলোর কারণে এই হরমোন তৈরি হওয়া ব্যহত হতে পারে। তাই রাতে কৃত্রিম আলো বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। এটি শিশুদের মেলাটোনিন তৈরি হতে সাহায্য করে।

উষ্ণ পানিতে গোসল
উষ্ণ পানিতে শিশুকে গোসল করালে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। যার ফলে শিশুরা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি উষ্ণ থাকে গরম নয়। তবে এই বিষয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো।

হালকা মালিশ
বেবি লোশন বা তেল দিয়ে হালকা মালিশ করলে তা শিশুর শরীরকে শান্ত রাখে। যা তার ঘুমের জন্য ভালো। এছাড়াও কিছু তেল শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য ভালো। মা-বাবা প্রতিদিন শিশুকে নিজে মালিশ করলে শিশুর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়।

বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন
শিশুরা সাধারণত ঘুমাতে ঘুমাতে মাঝে মাঝেই জেগে ওঠে। এই সময়ে তাদের কোলে না নিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে দিন। এতে তাদের বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে ওঠে। যার ফলে এর পরে যখনই তারা রাতে জেগে ওঠে, আবার নিজেই ঘুমিয়ে যায়।