রাজশাহীর বাগমারায় তীব্র শীতে কাবু শিশু-বৃদ্ধ ছিন্নমূল মানুষজন

// নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে মাঘের শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাগমারা উপজেলার জনজীবন। বিকেলে পরই নাচছে শীত। মেঘ কেটে যাওয়ায় থেকে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গেছে। উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়া ঘণ্টায় ৬-৭ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন,১১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ফলে শীতের তীব্রতাই বাড়ছে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ। শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষ।এলাকাবাসি সুত্রে সোমবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে শীতের সঙ্গে বাতাস বইতে শুরু করে। রাতে ঠা-া বাতাস আরও বাড়তে থাকে। রাত ৮টার পর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে য়ায় রাস্তা,ঘাট,মাঠ। এসময় ঘন কুয়াশায় পথঘাট ঢাকা পড়ে যাওয়ায় মহাসড়কে যানবাহন লাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। কুয়াশার কারণে সঠিক সময়ে যানবাহন গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে দেরি হয়।সন্ধ্যার পরপরই ঘরে ঠুকছে সাধারণ মানুষ। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেও। এতে সন্ধ্যার কিছু পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে হাট-বাজার। মাঘের হাড় কাঁপানো শীত আর হিমেল হাওয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। ফলে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ জনেরা। এদিকে, প্রচ- শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীতে হাসপাতাল ক্লিনিক গুলোতে ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন ফসলের বীজতলা ঠিকমত পরিচর্যা করতে না পারা ও কুয়াশায় চারা নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন বিপদে। এবিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক লতিফা হেলেন জানান, ১১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এ অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা সর্বোনিম্ন ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে শৈত্য প্রবাহ কমে আসতে পারে। এসময় অন্তত একটি মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।