নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে ২৪ জন সুদকারবারীদের হাতে ১৮ লক্ষ টাকা বুঝিয়ে দিয়ে একটি বিবাদমান সমস্যার মীমাংসা করলেন সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার্যমান নুরুজ্জামান কালু। বুধবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার খোলাবাড়ীয়ার কালীতলা এলাকায় আলহাজ্ব আব্দুল আওয়ালের বাড়ীতে এক বৈঠকে এই মীমাংসা করেন তিনি। এই ঘটনায় এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে বলে জানান ঘটনার বাদী-বিবাদীসহ স্থানীয় লোকজন।
লক্ষীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু ও স্থানীয়রা জানান, গত ৪-৫ বছর পূর্বে নাটোর সদর উপজেলার খোলাবাড়ীয়া কালীতলা এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব আব্দুল আওয়ালের তিন ছেলে সাইফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও হাফিজুল স্থানীয় কতিপয় সুদ কারবারীদের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে সুদাসলের পরিমাণ বাড়তে থাকায় তা পরিশোধ করতে পর্যায়ক্রমে ২৪ সুদ কারবারিদের নিকট বিভিন্ন পরিমাণে টাকা সুদের উপর ধার নেন। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই ঋণের টাকা বেড়ে গিয়ে দাড়ায় প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার বেশি। পরবর্তীতে লেনদেন নিয়ে বিবাদ তৈরী হয়। বিবাদ নিরসনে আলহাজ্ব আব্দুল আওয়াল লক্ষীপুর বাজারে তার মালিকানাধীন একটি গোডাউন ১৮ লক্ষ ৪ হাজার বিক্রি করে বিক্রিলব্ধ সমুদয় টাকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুর হাতে তুলে দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে ২৪ জন সুদ কারবারিদের পাওনা সমুদয় অর্থ পরিশোধ করেন। চেয়ারম্যানের এই পদক্ষেপ স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে শান্তি ফিরে এসেছে।
ভুক্তভোগী আলহাজ্ব আব্দুল আওয়াল জানান, ছেলেরা সুদের উপর কার কার কাছে কত টাকা নিয়েছিল তা তার জানা নেই। তিনি এলাকার একজন সম্মানী মানুষ। সম্মান বাঁচাতে তিনি সম্পত্তি বিক্রি করে ছেলেদের ঋণ পরিশোধ করেছেন।
লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু জানান, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছিল। সমস্যা সমাধানে আব্দুল আওয়াল তার সম্পত্তি বিক্রি করে আমার হাতে ১৮ লক্ষ টাকা দিয়ে মীমাংসা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রকৃতপক্ষে সুদ কারবারিদের পাওনা ৩৬ লক্ষ টাকার বেশি ছিল। কিন্তু পাওনাদেরকে ১৮ লক্ষ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোন পাওনাদারের আর কোন অভিযোগ নাই। সবাইকে অনুরোধ করে বলা হয়েছে, এরপরে কেউ যদি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।