অন্তরকে পবিত্র রাখবেন যেভাবে

ইসলামের দৃষ্টিতে লোক দেখানো ইবাদত, হিংসা-অংহকার-শিরক করা, সন্দেহ পোষণ, সত্য বর্জন করা, বিদআতি কাজ করা কিংবা মুনাফিকি চরিত্রের কারণে মানুষের অন্তর অপবিত্র হয়। এসব কাজকর্ম থেকে বিরত থাকলে অন্তর পবিত্র রাখা যায়।

যে সব কারণে মানুষের অন্তর অপবিত্র হয়-

লোকদেখানো ইবাদত : মানুষকে দেখানো বা সমাজে সুনাম-সুখ্যাতি অর্জনের জন্য ভালো কাজ করা অন্তরের অপবিত্রতার আলামত।

হিংসা করা : অন্যের ভালো দেখতে না পারা, এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়া এবং তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা অন্তরের ব্যাধির পরিচায়ক।

অহংকার করা : কথায় ও কাজে-কর্মে নিজেকে বড় ও অন্যকে ছোট মনে করা অনন্তরের অসুখের চিহ্ন।

শিরক করা : মহান আল্লাহর উলুহিয়্যাত, রুবুবিয়্যাত ও নাম-গুণাবলির সঙ্গে শিরক করার দ্বারা অন্তর অপবিত্র হয়।

সন্দেহ পোষণ : আল্লাহর অস্তিত্ব, পরকাল ও ধর্মীয় বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করলে বা অবিশ্বাস করলে অন্তর অপবিত্র হয়। যেমন কাফিররা পরকালে বিশ্বাস করে না। আবার কারো কারো মনে পরকাল নিয়ে সন্দেহ-সংশয় আছে।

মুনাফিকি চরিত্র : অন্তরের বিশ্বাসের সঙ্গে বাস্তব কাজের গরমিল থাকা অন্তরের অপবিত্রতার আলামত। অর্থাৎ বাইরে যা সে আমল করে প্রকৃতপক্ষে অন্তরে তা বিশ্বাস করে না।

শিরকমিশ্রিত বিশ্বাস : এমন বিশ্বাস পোষণ ও আমল করলে অন্তর অপবিত্র হয়, যার সঙ্গে শিরকি চিন্তা ও ধ্যান-ধারণা মিশ্রিত আছে।

গোঁড়ামিবশত সত্য বর্জন করা : সত্যকে সত্য বলে জানা সত্ত্বেও গোঁড়ামিবশত তা গ্রহণ না করা অন্তরের অপবিত্রতার অন্যতম আলামত।

বিদআতি কাজ করা : ইসলাম ধর্মে নেই, এমন কাজ ইসলামের নামে করা বিদআত। এমন কাজের দ্বারা অন্তর অপবিত্র হয়। আর অন্তর অপবিত্র হলে অজু-গোসল করার মাধ্যমে তা পবিত্র হয় না। এ থেকে পবিত্র হতে হলে অবশ্যই তাওবা করতে হবে, এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশুদ্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে।