পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনা শহরে জোর করে জমি দখলের চেষ্টা ও সাইনবোর্ড ভাংচুরের ঘটনায় পাবনার আলোচিত-সমালোচিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত যুবলীগ নেতা সাকিরুল ইসলাম রনিকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়েছে। রনি শহরের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীসহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপে আলোচিত।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে পাবনা শহরের শালগাড়িয়ার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাবনা সদর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সাকিরুল ইসলাম রনি শালগাড়িয়া বিকে সাহা রোডের মো. সুলতান শেখের ছেলে। রনি পাবনা জেলা যুবলীগের বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম যুগ্ম-আহবায়ক এবং আগের কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, শহরের শালগাড়িয়া বিকে সাহা রোডের একটি জমি দখলের চেষ্টা ও সাইনবোর্ড ভাংচুরসহ হুমকি-ধামকির অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তাকে আজ বিকেলে সদর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিকে সাহা রোডের ১৪ কাঠা জমির মালিক মোছা, ছাবেরা সুলতানা দীর্ঘদীন ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। জমিটি দেখাশোনা করেন ভাগ্নে সোহেল আহমেদ। মালিক বিদেশে অবস্থান করায় বিভিন্ন সময় রনি জমিটি দখলের নানা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) ভাগ্নে সোহেল জমির মালিক ও ওয়ারিশগণের নাম উল্লেখ্য করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হোন রনি। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে সাইনবোর্ডটি ভাংচুরে করে জমি দখলের চেষ্টা করেন রনি। এসময় সোহেল এসে বাঁধা দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে সোহেল পাবনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে নানা কারণে রনিকে যুবলীগ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি।
সম্প্রতি যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রনির বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যকলাপের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেসব বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে তাকে দলের কার্যকলাপ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।