ইকবাল কবীর রনজু, চাটমোহর (পাবনা)
পাবনার চাটমোহরের প্রথমিক পর্যায়ের ২৩৯ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীর হাতে পৌছেনি ১৪ টি বিষয়রে বই। ইতিমধ্যে তারা ১২ টি বিষয়ের বই পেয়েছেন। ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও আংশিক বই হাতে না পাওয়ায় কোমলমতি শিশুরা নতুন বই প্রাপ্তির আনন্দ বঞ্চিত হচ্ছে।
চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহরে ১৫৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি ২২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ১২ টি বিদ্যালয় ও ৫০ টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। প্রথম শ্রেণীর ইংরেজি ও গনিত, দ্বিতীয় শ্রেণীর বাংলা ও গনিত, তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা, গনিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা, গণিত ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এবং পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা, গনিত, প্রাথমিক বিজ্ঞান ও ধর্ম এ ১৪ টি বিষয়ের বই চাটমোহরে না পৌছায় তা হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা।
চাটমোহরে নি¤œ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২ টি। এখন পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণীর কোন শিক্ষার্থীই একটি বই ও হাতে পায়নি। নবম শ্রেণীর সকল বিষয়ের বই আংশিক এসেছে। চাহিদার তুলনায় কম বই আসায় এ শ্রেণীর বই সংকট এখনো কাটেনি।
অপরদিকে মাদ্রাসারও সপ্তম শ্রেণীর কোন বিষয়ের বই এখনো চাটমোহরে পৌছেনি বিধায় সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীর মাঝে বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। এবতেদায়ী পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর গণিত, ইংরেজি, বাংলা, দ্বিতীয় শ্রেণীর গনিত, ইংরেজি ও আদরসুল আরাবিয়া বই চাটমোহরে না পৌছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে তা বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।
অরবিটল লিঙ্ক স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানাত ফেরদৌস পূন্য জানান, এখনো কোন বই হাতে পাইনি।
চড়–ইকোল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস রঞ্জন তলাপাত্র জানান, অধিকাংশ বই পেয়েছি এবং ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করেছি। সপ্তম শ্রেণীর বই এবং নবম শ্রেণীর আংশিক বই না পাওয়ায় বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব আশা করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাহবুবুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আমরা যে বইগুলো পাচ্ছি সেগুলো স্কুলগুলোতে সরবরাহ করছি। আশা করছি খুব দ্রুত সব বই চলে আসবে। তখন এ সংকট আর থাকবে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী জানান, নি¤œমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসা মিলে বইয়ের চাহিদা ছিল ৫,১৫,১৬৫ টি। বই পেয়েছি ৩,৬৮,৫১৩টি। অধিকাংশ বই চলে এসেছে এবং আমরা তা বিতরণ করেছি। কিছু বই এখনো না আসায় বিতরণ করতে পারিনি। আশা করছি এ সংকট দ্রুত কেটে যাবে।