ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর পরিষদ। সোমবার (৯ জানুয়ারী) দুপুরে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে লিখিত বক্তব্যে কামাল উদ্দিন ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবী করা হয়। পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেল মেয়র আবুল হাসেম।
গত ৪ জানুয়ারী কড়ইতলায় মামুন হোসেন হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, ঘটনা ঘটেছে ২ নং ওয়ার্ডে। অথচ ঘটনার রাতেই ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে নিজ বাড়ি হতে আইন-শৃংখলা বাহিনী আটক করে। পরে থানায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে আসামী দেখানো হয়। হত্যাকান্ডের সময় কাউন্সিলর কামাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না জানিয়ে আবুল হাসেম অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউন্সিলরকে হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পৌর পরিষদের পক্ষ হতে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান এবং কামাল উদ্দিনের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
পৌর মেয়র ইসাহক আলী মালিথা বলেন, কাউন্সিলর কামাল ষড়যন্ত্রের শিকার। হত্যাকান্ডের সময় সে ঘটনাস্থলে ছিলো না। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
থানার অফিসার অরবিন্দ সরকার বলেন, এজাহারে নামীয় থাকায় কামাল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
এসময় পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের নারী ও পুরুষ কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত: গত ৪ জানুয়ারী রাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কড়ইতলায় যাত্রীবাহী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার সামনের গøাস ভেঙ্গে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে রিকশাচালক মামুন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এসময় রকি (২৬) ও সুমন (২৫) আহত হয়। আহতরা ঢাকা ও রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন এবং অভিযুক্তের ছেলে হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃংখলা বাহিনী।।