চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর উপজেলার জগতলা গ্রামের এক খ্রিষ্টান পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ও হামলার ঘটনার সাত দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় অভিযুক্ত মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত দুই নেতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার (২ জানুয়ারী) দুপুর পর্যন্ত মামলার আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ঐ এলাকার মানুষের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
অভিযুক্তরা হলেন মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি (বহিষ্কৃত) জগতলা গ্রামের নুর সালামের ছেলে রবিউল ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বহিষ্কৃত) একই গ্রামের মৃত. নূরুজ্জামানের ছেলে আমির হোসেন।
গত মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে হামলার ঘটনায় রবিউল ও আমির হোসেনকে আসামী করে চাটমোহর থানায় মামলা করেন ভূক্তভোগি পরিবারের সদস্য সুব্রত গমেজ। ২৭ ডিসেম্বর রাতে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদেও সাময়িক বহিস্কারের বিষয়টি জানান।
মামলার বাদী সুব্রত গমেজ জানান, এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। আসামী গ্রেফতার হওয়া নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। মানুষ ভুল করলে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সুন্দর পথে ফিরে আসবে এটাই চাওয়া।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন জানান, আমরা আসামীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারিনি। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে জগতলা গ্রামের মৃত সুবল গমেজের ছেলে সনি গমেজের বিয়ের অনুষ্ঠানে তার বাড়ির মেয়েরা নাচ গান করছিল। তাদের সাথে নাচতে চায় নেশাগ্রস্থ যুবলীগ নেতা আমির হোসেন। এতে তাকে নিষেধ করা হলে সনি গমেজের চাচা সুব্রত গমেজকে মারধোর করে আমির হোসেন। পরের দিন সকালেও তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও নিকটআত্মীয়কে মারধোর করে আমির হোসেন, রবিউল ও তাদের সহযোগিরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশি প্রহরায় বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতে যুবলীগের ঐ দুই নেতাকে আসামী করে মামলা করেন সুব্রত গমেজ।