মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি : সারা বিশ্বের ন্যয় শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নানান আয়োজনে ১৮টি গির্জায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব “শুভ বড় দিন” পালিত হয়েছে। রবিবার দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দিসবটি পালন করা হয়।
নির্বিঘ্নে উৎসবটি
পালন করতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নলকুড়া, গৌরীপুর ও কাংশা ইউনিয়নে ১৮টি গির্জা রয়েছে। এসব গির্জায় দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর পুরোহিত ফাদার বিপুল ডেভিড দাস সিএসসি বলেন, “দুই হাজার বছর আগে বর্তমান ফিলিস্তিনের দক্ষিণ জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গোশালায় মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন যিশু খ্রিস্ট। সেই থেকে প্রতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর সারাবিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা মহাসমারোহে পালন করেন যিশুর জন্মদিন। পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং অন্তরের অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখানোর বাণী নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন যিশু খ্রিস্ট। ধনী-গরিবে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। মানুষে মানুষে মিলন, শান্তি যেন স্থাপিত হয় গোটা বিশ্বে। এমন প্রত্যাশা থাকবে এবারের বড়দিনে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, “বিভিন্ন গির্জা পরিদর্শন করেছি। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করতে পারে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রতিটি গির্জায় ৫শত কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, “দিনটি নির্বিঘ্নে পালন করতে থানা পুলিশের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি মাননীয় পুলিশ সুপার শেরপুর মহোদয়ের বড় দিনের শুভেচ্ছা ১৮টি গীর্জায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে”।
ঝিনাইগাতী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন চেয়ারম্যান নবেশ খকশী জানান, স্থানীয প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা থাকায় নির্বিঘ্নে আমরা যিশুর জন্মদিন বা শুভ বড়দিন পালন করতে পেরেছি”।