সঞ্জু রায়, বগুড়া: সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অবাধ-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে বগুড়ায় গণমিছিল করেছে বিএনপি।
শনিবার দুপুর আনুমানিক ১ টায় বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা এ গণমিছিল বের করে। মিছিলটি জলেশ্বরীতলা এলাকা হয়ে নবাববাড়ী মোড়ে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আলতাফুন্নেছা মাঠে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানুল্লাহ আমান বক্তব্য দেন।
আমান তার বক্তব্যে বলেন, আজকে সারাদেশে যুগপতভাবে এই গণমিছিল কর্মসূচি হচ্ছে। বগুড়ার সন্তান শহীদ জিয়াউর রহমানের কৃতি সন্তান তারেক রহমান গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন যা বাস্তবায়নে কঠোর আন্দোলন করা হবে। তিনি বলেন, প্রায় বছর খানেক আগে থেকে চালডাল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়। তখনই জনগনের জন্য রাজনীতি করা বিএনপি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যায়। ওই সময় নিত্যদ্রব্যের দাম কমানো, কৃষকদের বাঁচার জন্য জ্বালানি তেল, বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারেক রহমান। এসব দাবি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা আরও বলেন, আপনাদের এলাকার কৃতি সন্তান তারেক রহমানের ঘোষিত দশ দফা দাবির এই যুগপত আন্দোলন প্রথম শুরু করা হোক এই বগুড়ার মাটি থেকে। তিনি সকলকে দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সংক্ষিপ্ত এই সমাবেশে বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল নবী, খায়রুল বাশার, জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানসহ সংগঠনটির অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির এ গণমিছিলে সংগঠনটির জেলা ও উপজেলা শাখার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তবে বিএনপির এ আয়োজনকে ঘিরে শহরজুড়ে বগুড়া জেলা পুলিশের সদস্যদের সতর্ক অবস্থান ছিলো চোখে পড়ার মতো। দিনশেষে কোনরকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে বগুড়া জেলা বিএনপি।