এনামুল হক টগর
হে বিষধর ঘাতক লুটেরা ও দূর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীরা তোমরা কি ভয়ংকর?
অর্থ ও সম্পদের আশায় তোমরা কি খুনি রূপে পৃথিবীকে নিমজ্জিত করো কঠিন আঁধার।
জানো তো পৃথিবীর সব সম্পদ লোভী আমিররা ভিক্ষারী হয়ে গেছে সময় নিষ্ঠুর অসহায়!
দরবেশ ও মুমিনরাতো জ্ঞানে হৃদয়বান জগতে ধনী হয়ে থাকে ত্যাগের মহিমায়।
সন্ত্রাসীরা দিন ও রাত্রির সময় বিক্রি করে অন্যায় অপরাধ করে ঘৃণিত কালো ব্যবসায়।
সোনা রুপা ও অর্থের লোভে তারাতো বিবেকহীন ও নিয়ন্ত্রহীন উন্মাদ লোভের বাসনায়?
নফসের আমিত্ব ও লালসার কামনায়ই কি তারা স্বপ্ন দেখে রঙিন পৃথিবী কল্পণায়?
নিজের অহংকার ও মিথ্যা কথাগুলোর ভেতরেই তুমি খুঁজে পাবে নিজ পরিচয়।
জীবনতো ইতিহাসের গভীরে ক্ষণিক দ্বন্দ্ব দুঃখ কষ্ট ও যাতনায় সাংঘর্ষিক বৈচিত্র্যময়!
বেদনা বিধুর সমাধির উপর নামের ফলক চিহৃ অতীত কর্ম ও অপকর্মগুলো স্মৃতিময়!
নিয়মের প্রবল ঝড় জীবনকে ক্লান্ত করে ও শেকড়গুলো ছিঁড়ে ফেলে নিয়তি কি বিস্ময়?
সময়ের প্রশ্নগুলো বুকে নিয়ে দীর্ঘ সাগর ও ছোট নদী পৃথিবীকে বলে দুঃখ কি?
প্রভাতের মুখোমুখি নতুন সূর্য দাঁড়িয়ে জীবন ও যৌবনকে প্রশ্ন করে সংসার কি?
বিদগ্ধ নবজাতক ও নির্মল কিশোর কিশোরী অনুজ্জ্বল কসাই ঘাতকের হাতে খুন হয় কখনো ধর্ষিত?
পৃথিবী যেন আজব,সোনা ও রূপার চেয়েও হিংস্র পশুর বিষই যেন অধিক মূল্যবান ঠিক অহংকারীর অসৎ।
যদি এমনই হয় বাস্তবতার কঠিন বেদনা ও যন্ত্রণার ক্ষত বিক্ষত সমাজের গতি।
তবে নিঃশেষিত দুঃখের গহীনে জীবনতো ক্লান্ত হবেই নির্মম ও ব্যথিত।
এমন বেদনার কঠিন দিনে কে করবে দেশ সেবা,কে করবে মানবতার কল্যাণ।
কে আনবে পৃথিবীর নব নব সংস্কার,কে আনবে পরিবর্তনের উজ্জ্বল আলো নিপুণ।
দুনিয়াতো দুই শ্রেণিতে বিভক্ত আলো আর আঁধার,শুভ আর অশুভ জীবন!
একদিকে ন্যায়-পরায়ণ আর্দশ শোষিতের পক্ষে সভ্যতার কর্মপ্রচেষ্টায় দেশপ্রম,
অন্য দিকে লুটেরা সন্ত্রাসী খুনি দূর্নীতিবাজ ও কঠিন দানবের অশুভ শক্তি অপকর্ম।
উজ্জ্বল সূর্যের সামনেই যেন গভীর আঁধার দেশ সমাজ ও পৃথিবীকে ঘিরে আছে নির্বাক!
এক দিকে জুলুমবাজ শাসক,অন্য দিকে দেশপ্রেমিক শাসক কিন্তু অসহায় শোষিত অবাক।
এক দিকে আর্দশ রাজার সভ্যতা ও মানবতার মহৎ দেশপ্রেম কল্যাণ।
অন্য দিকে লুটেরা সন্ত্রাসী ও অত্যাচারীদের অসভ্য হিংসা বিদ্বেষ ধ্বংস পতন।
ভণ্ড প্রভুর রূপ ধারণ কারে মুখোশধারীরা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় অকল্যাণ।
তারা আসহায় দরিদ্র মানুষের খাদ্য বস্ত্র গ্রাস করতে চায় জীবন সংসার অঙ্গার।
প্রতিনিয়ত তারা মানবতাকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে ঘাতক রক্তপিপাসু ভয়ংকর।
ভণ্ড সাম্রাজ্যবাদ,ভণ্ড পুঁজিবাদ,ভণ্ড কল্পণার জঙ্গিবাদ ও ভণ্ড নাস্তিবাদদের ক্রোধাকর্ষণে।
অভাব ও অনাটনে পড়ে থাকা মানুষগুলো বেদনায় কাঁদে বিফল জীবন ক্লান্ত জীর্ণ।
তারপরও ন্যায়-পরায়ণ ও দেশপ্রেমিকরা নিপুণ প্রজ্ঞায় দৃঢ় দীপ্ত আলো জ্বালায় দেশপ্রেমে উদয়।
তাঁরা গবেষণা ও কর্ম দিয়ে মানবতার জ্ঞান ছড়ায় দেশ সমাজ ও পৃথিবীর দিকে দিকে অক্ষয়।
আর বিশ্ব মানবতাকে ধীরে ধীরে জাগিয়ে তোলে সময়ের সফল শস্য বীজ ভাণ্ডার আবাদ।
সামনে ব্যর্থ ও পরাজয় জেনেও জ্ঞানীরা অধিকারের জন্য লড়াই করে দিকবিদিক সর্বদা।
তাদের কাছে লুটেরারা পরাজিত,তাঁরাই দেশপ্রেমিক, তাঁরাই আনে সুদিন সুন্দর রৌদ্রময় চাষাবাদ।