পরম শ্রদ্ধায় সমাহিত হলো ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামানের মরদেহ

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
পরম শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে অশ্রুসজল নয়নে সমাহিত হলো সদ্য কারামুক্ত ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম আক্তারুজ্জামান এর মরদেহ। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় পিয়ারপুর ঈদগাহ ময়দানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পিয়ারপুর গোরস্তানে মরহুমের মরদেহ কবরস্থ করা হয়।

এসময় বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ও পাবনা জেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোকলেছুর রহমান বাবলু, জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ দলীয় ও অংগ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী , সুধিজন এবং হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন ।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এক শোক বার্তায় জানান, আক্তারুজ্জামান আক্তার বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে তিনি দলকে সংগঠিত করতে কাজ করে গেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি মিথ্যা মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত হয়ে মাত্র আড়াই মাস আগে মুক্তি পেয়েছেন। তার অনাকাঙ্খিত মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

প্রসংগত: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রায়ে একেএম আক্তারুজ্জামানসহ ৯ জনের ফাঁসি ও ৩৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। পাঁচ বছর কারাভোগের পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে ৪৭ নেতাকর্মীর সঙ্গে তিনিও খালাস পান। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজশাহী কারাগার থেকে মুক্ত হন।