লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় ২য় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রী অপহরণের প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যবদি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বাবা ও বাদী আব্দুর রহিম সরকার ও তার পরিবার মারাত্বক ভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ যার মামলা নম্বর ২৫ তারিখ ১৯/০৯/২০২৪ ইং। বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগের মামলা সুত্রে জানাগেছে, গত ০৮/০৯/২০২৪ ইং রোববার সাড়ে ১২ টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় কলেজে শেষে বাড়ী ফেরার পথে মামলার ১ নং আসামী মোঃ আল আমিন পিতা মোঃ নুর ইসলাম সাং রুদ্ররাম থানা জেলা লালমনিরহাট বাদির কন্যা মোছাঃ তানিয়া সুলতানা মিতু কে অটোরিকসা থেকে অজ্ঞাত নামা ৬/৭ জন সহ মামলার অপর আসামী আতাউর রহমান,তার পিতা নুরইসলাম মা আরজিনা বেগম গন তাহাদের সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাসে তুলিয়া অপহরণ করে দক্ষিণ দিকে নিয়ে যায়। এর পুর্ব থেকে মামলার ১ নং আসামী বিভিন্ন ভাবে উত্তাক্ত করে আসতো। বিষয়টি কলেজ ছাত্রী তার মা বাবাকে বললে,তারা বাবা মা জামাতের মসজিদ কমিটিকে অবহিত করে। মসজিদ কমিটি আসামীর বাবা মাকে অবহিত করলে আসামী আল আমিন তা উপেক্ষা করে কলেজ ছাত্রীকে আরো বেশি উত্তাক্ত করে। আসামী আল আমিন মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। এঘটনায় জামাতবাসি মসজিদ কমিটি তাকে মসজিদ থেকে বের করিয়া দেন। বাদী জানান,থানায় অভিযোগ করে অনেকবার থানা কর্তৃপক্ষের নিকট মেয়ে উদ্ধার বিষয় নিয়ে সহযোগিতা চাইলেও পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করতে টালবাহানা করে চলছেন। বাদি আরো বলেন, মেয়েকে উদ্ধারের বিষয়ে, পুলিশ আমাকে নিয়ে আশুলিয়ায় যায়। সেখানে পুলিশ মামলার ২ নম্বর আসামী আতাউর রহমান কে আটক করের ছেড়ে দেয়। মামলার ২ হইতে ৪ নং আসামী জামিন নিয়ে উল্টো বাদী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে বাদী দীর্ঘ প্রায় ৭ মাসেও মেয়ে উদ্ধার করতে না পেরে হতাশায় ভুগছেন। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুরনবী জানান,১ নং আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং অপর আসামীরা জামিনে রয়েছেন।
