খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের
খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের ভুল্লী নদীর ওপর ভেঙে পড়া সেতুটি অবশেষে অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর নেওয়া এই উদ্যোগ নতুন সেতু নির্মাণের বাস্তবায়নকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহানো স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় সেতুটি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে সেতুটি ঝুলন্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও তা অপসারণ কিংবা বিকল্প কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সঙ্গে সংযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নদী পার হচ্ছিলেন। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা সেতু অপসারণ কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অপসারণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা।
খানসামা উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী শাহ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভুল্লী নদীর ওপর ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ভাঙা সেতুটি অপসারণের পরপরই নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ওসমান গণি, আফছার আলী ও আলমগীর ইসলাম বলেন, “অনেক দিন ধরে এই সমস্যা চলছিল। এখন পুরোনো সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে, নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে। এতে আমরা অনেকটাই আশাবাদী। তবে কাজ দ্রুত শুরু ও শেষ হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে।”
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, “নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই ভাঙা সেতু অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণে এলজিইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জনগণের এই দুর্ভোগ নিয়ে ইতিপূর্বে “ভেঙে ঝুলে আছে সেতু, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার” শিরোনামে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।