ঈশ্বরদীতে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ শক্তিমত্তা জানান দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না শহর, গ্র্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন! জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এ জীবন যেন ওষ্ঠাগত! তাপমাত্রার কাঁটা তীব্র তাপপ্রবাহ ছুঁই ছুঁই। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ঈশ্বরদীতে তেতে উঠেছে প্রাণিকুলও। বাতাসেও আগুনের ছটা। এরআগে গত ২৮ মার্চ মৌসুমের প্রথম তাপপ্রবাহ ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী রেকর্ড হলেও ছিল না সূর্যের প্রখরতা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারি পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রী। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রী রেকর্ড হলেও বুধবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছে। চলমান দাবদাহ আরও বৃদ্ধি পেতে পাওে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে পরিবর্তন এসেছে মানুষের জীবনযাত্রায়। প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও শ্রমজীবী মানুষের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। পেটের টানে বাইরে বের হতেই হয়। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে তীব্র গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যাও কম।

ঈশ্বরদী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহেদুল শাহরিয়ার শিশির জানান, তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে-লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।’