গুরুদাসপুরে বিএনপি নেতার মদদে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ১২ জন ব্যক্তিকে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সিধুলী-চলনালী-পোয়ালশুড়া হযরত ওসমান গণি (রা:) ক্বওমি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
মাদ্রাসা কমিটির সুত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট অস্থায়ী শিধুলী কাঁচাবাজারে মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনার জন্য রশিদের মাধ্যমে দানের টাকা আদায়ের করা হতো। এ ঘটনায় মাদ্রাসা কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন, মো. জাকারিয়া সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন আব্দুল আজিজের সমর্থক ছাত্রদল নেতা রুবেল আহমেদ। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সেনা সদস্যরা মাদ্রাসা কমিটির ৮ জনকে থানায় নিলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেন এলাকাবাসি। বিক্ষোভ, মানববন্ধন, প্রতিবাদসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করেন তারা। মামলা প্রত্যাহার করে মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী। হযরত আলী, জার্জিস হোসেন, মাও. ফরিদ উদ্দিন, মাও. ফাতেহুল কবির, শাহাদৎ হোসেনের স্ত্রী আছিয়া বেগম ও আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা মাদ্সার উন্নয়নের জন্য শিধুলী কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় রশিদের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় অর্থ কালেকশন করতেন। সর্বশেষ গত ২৭ রমজান শিধুলী মাদ্রাসা মাঠে বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ একটি জানাযা শেষে অফিসে বসে গ্রামের প্রধান হযরত আলীকে বলেন যে, আমার ছোট ছেলে সোহাগ ও তালবাড়িয়া গ্রামের রুবেল আহমেদ নয়া বাজার হাট ইজারা নিয়েছে। ওই হাটটি বেশি টাকায় ইজারা নেওয়ার কারনে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেজন্য কাঁচা বাজার থেকে কালেকশনের অর্ধেক টাকা তিনি নয়াবাজার হাট ইজারাদারকে দিতে বলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ ছাত্রদল নেতাকে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাদ্সারা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করান। তারা গ্রেপ্তারকৃত ৮ জনকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা-ভিত্তিহীন। তার ভাবমুক্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিনের বড়ভাই আব্দুল মজিদ। ১৫ বছর ধরে তার নেতৃত্বেই এই চাঁদা তোলা হয়। এখনও এ ধারা অব্যাহত আছে।#