ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈদে প্রতিটি পরিবারে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। সবাই ভাগাভাগি করে ঈদ আনন্দ। বছর ঘুরে ঈদ এলেও সব পরিবারে নেই আনন্দ। তেমনি আনন্দ ছিল না ঈশ্বরদীতে ময়না বেগমের বাড়ীতে। ঈদ আনন্দ করার মত সার্মথ্য ছিল না। এমনকি প্রতিবন্ধী সন্তানদের খাওয়ানোর মত ছিল না খাদ্যসামগ্রী।
তাই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিনে ময়না বেগম তার বিধবা বোনকে নিয়ে ময়লার ভাগারে ফেলে যাওয়া পঁচা চাল বেছে সংগ্রহ করছিল। প্রতিবন্ধী সন্তানদের মুখে দু’মুঠো ভাতের চাল যোগাড়ের জন্য। কারণ তাদের ঘরে ছিল না খাবার। এই ঘটনা বিজয় টেলিভিশনের সংবাদ কর্মির ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তিনি এই ছবি ফেসবুকে প্রচার করেন।
ফেসবুকের প্রচারিত তথ্যের ভিত্তিতে ময়না বেগমের দুরাবস্থার কথা জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ। তৎক্ষনাৎ ইউএনও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছুটে যান আইকে সড়কের জয়নগর ওয়াবদা গেট সংলগ্ন সেই ময়লার ভাগাড়ে। সাথে নিয়ে যান চাল, ডাল, তেল, লবণ, সেমাই চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং নগদ অর্থ। ঈদের দিনে খাদ্যসামগ্রী উপহার পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন বিধবা ময়না বেগম ও তার বোন।
পৌর শহরের দরিদ্র বিধবা ময়না বেগম জানান, ইউএনও সাব চাল, ডাল, তেল, লবণ, সেমাই, চিনিসহ খাদ্যসামগ্রী এবং নগদ টাকা দিয়েছেন। আমার খুব খুশি ও আনন্দ লাগছে। আজ ঈদের দিনে প্রতিবন্ধি সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বলেন, সংবাদ কর্মির মাধ্যমে ময়না বেগমের দুরবস্থার কথা জানতে পেরে অসহায় পরিবারকে নগদ অর্থ সহ খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে ঈদ আনন্দ দিতে পেরে ভালো লাগছে এবং মানসিকভাবে খুব শান্তি পাচ্ছি।